পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&o লোকে হত্যা করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । কিন্তু তিনি যদি আরাকানরাঞ্জের ভয় না করিয়া তাহাকে আপনার রণতরী ও সৈন্ত পরিচালনে নিযুক্ত করিতেন, তাহা হইলে হয়ত বাঙ্গলার রাজনৈতিক জগতে আর এক দৃষ্ঠের উদয় হইত। ফলতঃ প্রতাপ কর্তৃক কার্ভালোর এরূপ শোচনীয় হত্যার সমর্থন করা যায় না । যে সময়ে প্রতাপ আপনার বলসঞ্চয় করিয়া অসীম পরাক্রমশালী হইয়া উঠিতেছিলেন, সে সময়ে বাঙ্গলায় অনেক রাজনৈতিক বিপ্লব ংঘটিত হইয়াছিল । আজিম খার পরে সাহাবাজ রাজনৈতিক অবস্থ৷ র্থ কুন্তু বাঙ্গলার সুবেদার নিযুক্ত হন। তৎকালে ...” পাঠানগণ পূৰ্ব্ববঙ্গ ও উড়িষ্যায় স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া, মোগল সৈন্তের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়। পূৰ্ব্ববঙ্গে ইশা খাঁ ও উড়িষ্যায় কতলু খাঁ মোগলদিগের বিকদ্ধে অভু্যথিত হন। মাগুম খ কাবুলী বিদ্রোহী হইয়া ইশা ও কতলুব সাহায্য গ্রহণ করিয়াছিল। সাহাবাজ খাঁ পূৰ্ব্ববঙ্গের যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় ওয়াজির খাকে কতলুর দমনে প্রেরণ করেন। ওয়াজিরের সহিত যুদ্ধে কতলু পরাজিত হইয়া উড়িষ্যার জঙ্গলে পলাইয় যান। পরে তঁহাকে উড়িষ্য প্রদান করিয়া শাস্ত করা হয়। ইশা খাও সাহাবাজের সহিত কয়েকটি যুদ্ধের পর শাস্তভাৰ অবলম্বন করেন । সাহাবাজের পর ওয়াজির অল্পদিনের জন্ত সুবেদার নিযুক্ত হইয়াছিলেন। তাহার মৃত্যুর পর রাজা মানসিংহ বাঙ্গলা, বিহারের হুবেদার হইয় আসেন। এই সময়ে কতলু খাঁ পশ্চিম বঙ্গের কতক অংশ অধিকার করিয়া বসিলে, মানসিংহ তাহার দমনের জন্ত অগ্রসর হন। প্রথমতঃ মানসিংহের পুত্র জগৎসিংহ আফগানগণের সন্মুখীন হইয়া ছিলেন। জাহানাবাদের নিকট তিনি উপস্থিত হইলে, কতলুর সেনাপতি বাহাদুর র্থ প্রথমে সন্ধির ভান করিয়া পরে তাহাকে রাত্রিতে আক্রমণ প্রতাপের সময়ে