পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t(t zাপনের মূলই বা কি তাহাও আমরা এই সঙ্গে আলোচনা করিতে ইচ্ছ করি। যে কারণে যশোরেশ্বরী প্রতাপাদিত্যের প্রতি বিমুখ হইয়াছিলেন, আমরা প্রথমে তাহারই উল্লেখ করিতেছি। প্রতাপাদিত্য কোন একটি স্বালোকের প্রতি ক্রুদ্ধ হইয় তাহার স্তনদ্বয় কর্তনের আদেশ দিয়াছিলেন বলিয়া এক প্রবাদ চিরদিন হইতে চলিয়া আসিতেছে। সেই স্ত্রীলোক সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন মত দৃষ্ট হয়। ঘটককারিকায় লিখিত আছে যে, কোন দরিদ্র বৃদ্ধ ভিক্ষার জন্ত রাজার নিকট বারংবার প্রার্থনা করায়, রাজা তাহার কর্কশরবে বিরক্ত হইয় তাহার স্তনকৰ্ত্তনের আদেশ দেন। রামরাম বসু মহাশয় বলেন যে, বাজার কোন পরিচারিক অন্তঃপুর হইতে পলায়ন করায় রাজা তাহার প্রতি উক্ত কঠোর আদেশ প্রদান করেন। স্মাইথ সাহেব বলেন যে, কোন চণ্ডালী রাজার সম্মুথে দরবারগৃহ পরিষ্কার করায়, তিনি তাহার প্রতি উক্ত দণ্ড বিধান করিয়াছিলেন । * এই সমস্ত ভিন্ন ভিন্ন প্রবাদ আলোচনা কবিলে ইহা প্রমাণিত হয় যে, রাজা প্রতাপাদিত্য কোন একটি রমণীর স্তনকর্তনের আদেশ দিয়াছিলেন । তাহ সত্য হইলে, উগ যে প্রতাপের ঘোরতর নিষ্ঠুরতার পরিচায়ক,তাহ কেন মতে অস্বীকার করা যায় না। এই নিষ্ঠুরতার জন্ত প্রবাদের স্বষ্টি হইয়াছে যে, তাহার উপাস্তদেবতা যশোরেশ্বরী তাহাকে অবশেষে পরিত্যাগ করিয়া, ছিলেন। কিরূপ ভাবে যশোরেশ্বরী তাহাকে পবিত্যাগ করেন, তাহারও সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। ঘটক কারিক হইতে জানা যায় স, দেবী এক ব্রাহ্মণকস্তার রূপ ধারণ করিয়ী রাজার অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়া তাহায় নিকট ভিক্ষ প্রার্থনা করিলে, রাজা তাহাকে দুশ্চরিত্র ঠী মনে করিয়া রাজ্য হইতে চলিয়া যাইতে বলেন । তাহাতে দেবী উত্তর করেন যে, আমি শক্তিরূপে সৰ্ব্বভূতে আছি। শক্তি ও স্ত্রীর কোনই

  • (৮২ ) টিল্পনী দেখ ।