পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yo o চাদরায়ের পুত্ৰগণ যশোরের জমিদারী লাভ করিয়াছিলেন । চাদরায়ের বংশধরগণ অস্থাপি বর্তমান আছেন। কচুরায়ের ছায় মানসিংহ ভবানন্দ মজুমদারকে মহৎপুর, বাগোয়ান, প্রভৃতি ১৪ পরগণার জমিদারী প্রদান করিয়া সনন্দ দিয়াছিলেন । এই সময় হইতেই কৃষ্ণনগর রাজবংশের অভু্যদয় হয়। প্রতাপের দমনের পর ১৬০৬ খৃঃ অব্দে মানসিংহ বাদসহ কর্তৃক আহূত হইয়া আগর গমন করেন, এবং বাঙ্গলায় কিছু দিনের জন্ত শান্তি স্থাপিত হয়। আমরা ঐতিহাসিক আলোচনার দ্বার প্রতাপাদিত্য সম্বন্ধে যাহা স্তিত্ব করিতে পারিয়াছি, যথাসাধ্য তাহার বিবরণ প্রদান করিলাম। ঐ সমস্ত বিবরণ ও কোন কোন প্রচলিত প্রবাদ অবলম্বন করিয়া আমরা প্রতাপাদিত্যের চরিত্র সম্বন্ধে কিঞ্চিং আলোচনা করিতেছি । প্রতাপাদিত্যের চরিত্র আলোচনা করিলে, বুঝিতে পাবা যায় যে, তিনি বিচিত্রচরিত্রসম্পন্ন ছিলেন। এক দিকে তাহার স্বয় যেমন পবিত্র উদারতায় পূর্ণ ছিল, অন্যদিকে আবার তাহ নিষ্ঠরতায় কুলিশকঠোরতুল্য প্রতীয়মান হইত। এক দিকে যেমন তিনি অধীনতার শৃঙ্খল ছেদন করিয়া আপনাকে স্বাধীনতা-লক্ষ্মীর উপাসক বলিয়া প্রচার করিতেন, অন্ত দিকে আবাব অপরের,—এমন কি আপনার নিকট আত্মীয়ের পদে অধীনত শৃঙ্খল পরাইয় তাহার রাজ্য গ্ৰাস করিবার জন্ত হস্ত প্রসারণ করিতেন। এক দিকে তিনি দানে কল্পতরু ছিলেন, অন্ত দিকে আবার পরসম্পত্তিহরণে সচেষ্ট হইতেন। ফলতঃ র্তাহার চরিত্র এইরূপ পরস্পরবিরুদ্ধগুণসম্পন্নই ছিল। র্তাহার উদারতার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি হিন্দু, মুসল্মান, খৃষ্টান সকল ধৰ্ম্মাবলম্বীর প্রতিই ঔদার্য্য প্রকাশ করিতেন। যশোরেশ্বরীর মন্দির, টেঙ্গা মসজীদ ও - সাগরদ্বীপের গির্জা প্রতাপের চরিত্র সম{ লোচনী ।