পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

➢ ማby ও বহিঃপ্রদেশে অবস্থিত ছিল। এই খান হইতে মোগল সেনাপতিগণ প্রতাপের সৈন্তের সহিত যুদ্ধারম্ভ করিয়া যশোর দুর্গ পর্যন্ত ধাবিত হইয়াছিলেন। ইব্রাহিম খ ও মানসিংহ প্রথমে মেীতলায় আসিয়াই উপস্থিত হন, এবং তথা হইতেই প্রতাপের সৈন্তের সহিত যুদ্ধারন্ত হয়। মেীতলাতে একটি মসজীদ অবস্থিতি করিয়া প্রতাপের উদারতার পরিচয় দিতেছে। মেীতলার সংলগ্ন একটি স্থান আছে, তাহকে হাটশালা কহে। তথায় পূৰ্ব্বে অতিথিশালা স্থাপিত ছিল বলিয়। কথিত হইয়া থাকে। প্রতাপ যে বিশাল অতিথিশাল স্থাপন করিরছিলেন, হাটশালাতে তাহার স্থান নির্দিষ্ট হয়। রামরাম বস্তু মহাশয় এই অতিথিশালার বিবরণ প্রদান করিয়াছেন। তিনি র্তাহার সময় পৰ্য্যন্ত উক্ত অতিথিশালা বিদ্যমান ছিল বলিযা উল্লেখ করিয়াছেন। • র্তাহার সমর পর্য্যন্ত তাহার অস্তিত্ব ছিল কিনা বলা যায় না । J মেীতলার উত্তর পশ্চিমে জাহাজঘাটা অবস্থিত। এই জাহাজঘাটায় প্রতাপাদিত্যের জাহাজাদি রক্ষিত হইত বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। রাজধানীর উত্তরে এই স্থান রণতরীর দ্বারা সুরক্ষিত ছিল । সহসা শত্রুপক্ষ রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হইতে পারিত না, এবং এই স্থান হইতে চতুৰ্দ্দিকে জাহাজাদি গতায়াত করিত । ੱਥ সৈন্ত ও সেনাপতিগণ এই খানে অবস্থান করিয়া রণতরীসমূহ পরিচালন করিতেন। এই স্থান যমুনাগর্ভ হইতে উত্থিত হইয়াছে। অদ্যাপি তথায় চত্বর, প্রাঙ্গণ, তোরণ ও অট্টালিকাশ্রেণীর ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হইয়া থাকে। ঈশ্বরীপুরের স্তায় এখানেও একটি হাবলী খান বা হামামখানা বিদ্যমান আছে । • মুল ও৭ পৃ: দেখ। মেীতলা । হাটশাল । জাহাজঘাট ।