পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ ও ১ চান অধিকার করেন । গঞ্জালেসের পরিণাম কি হইয়াছিল, তাহা সুস্পষ্টরূপে জানা যায় না। এই সময় হইতে পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ বঙ্গে ফিরিঙ্গীদের অত্যাচার প্রশমিত হয় বটে, গাজ প্রাধানোর ধ্বংস । কিন্তু মগদিগের উৎপাত নি দিন 'ತ হইতে থাকে । সুন্দরবনের অনেক স্থান হহাদের উৎপাতে জনশূন্ত ইয়া নিবিড় অরণ্যে পরিণত হইয়াছে। পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ বঙ্গে ফিরিঙ্গীদের অত্যাচার প্রশমিত হইলেও বঙ্গদেশ হইতে তাই দের প্রাধান্সের একেবারে নাশ হয় নাই। ক্রমে তাহারা পূৰ্ব্ববঙ্গ পরিত্যাগ কবিয়া পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় গ্রহণ করে, এবং সেই সময়ে হুগলী প্রসিদ্ধ বন্দর হওয়ায, তাহারা তথায় বলে দলে বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছিল । সেখানেও তাহারা আপনাদের তুল্যবহার পরিত্যাগ করিতে পারে নাই । সাজাহানের রাজত্বকালে কাসীম পা জবানী সুবেদার নিযুক্ত হইলে, তিনি বাদসাহের অনুমতি-অনুসারে গহাদিগের দমনে প্রবৃত্ত হন, এবং হুগলী অবরোধ করিয়া তাহদের বিনাশসাধন করেন । তদবধি বঙ্গে পটুগীজ প্রাধাষ্ঠের ধ্বংস হয় । যাহার বাণিজ্যের জন্ত বঙ্গভূমিতে আসিয়াছিল, তাহারা দস্থ্যতা প্রভৃতি নীচবৃত্তি অবলম্বন করিয়া সভ্যতাদীপ্ত ইউরোপের নামে কলঙ্ক প্রদান করিয়া গিয়াছে । ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে বঙ্গভূমি তাহদের অত্যাচাব ও উৎপীড়নে জঙ্গরিত হইয়া উঠিয়ছিল । তন্মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ গঞ্জালেস ফিলিঙ্গীর অত্যাচপষ্ট প্রধান। কিন্তু ভগবানের রাজ্যে অত্যাচারীর স্পদ্ধ অধিক দিন ঠগী হল না বলিয়া শীঘ্রই তাহার পতন হইয়াছিল। কিন্তু ধূমকেতুর ষ্ঠান উখিত হইয় সে যেরূপ বিপ্লব ঘটাইয়াছিল, তাহতেই বঙ্গভূমি শস্ত্রত হইয়া উঠে । ইতিহাস তাহার সেই ভীষণ অত্যাচার চিত্রিত পরিয়া বঙ্গবাসীর নিকট তাহাকে ঘৃণার ও ভীতির প্রতিমূৰ্ত্তি করিয়া খিসছে । স্বাকীন রাজকর্তৃক সনদ্ধাপ অধিকার ও পটু -->