পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミe○ গুচাব প্রতি অস্ত্রচালনা করে। হস্তীব সম্মথের পদদ্বয় ছিন্ন ও তাহার গুণ্ডে ও গাত্রে আঘাত লাগায়, এবং তাহার মাহুত নিপতিত হওয়ায় সে চাৎকার করিয়া প্রস্তান করে। ওসমান পরে আর একটি হস্তীকে চালিত করিবার জন্ত আদেশ দেন । সে হস্তীও সুজাত ও তাহার পতাকাবাহককে আক্রমণের জন্ত ধাবিত হয়। ঘৎকালে তাহার সািহত সজাতের যুদ্ধ হইতেছিল, সেই সময়ে একটি অজ্ঞাত হস্তেব গুলি আসিয়া ওসমানের ললাট বিদ্ধ করে। ওসমান তথাপি আপনার সৈন্ত্যদিগকে উত্তেজিত করিয়া সন্ধা পৰ্য্যন্ত যুদ্ধ করিয়াছিলেন । রাত্রিতে তাঙ্গর প্রাণবিয়োগ হয়। তাহার মৃত্যুর পর তাহার ভ্রাত ওয়ালি ও পুত্ৰ মমরেজ বাদসাহের বস্তৃতা স্বীকাব করেন। ওসমানের মৃত্যুর পর হইতে সঙ্গে পাঠান বিদ্রোহ প্রশমিত হয়। দাযুদের মৃত্যুর পর যাহারা অনেক দিন পর্য্যন্ত আপনাদের প্রাধান্ত বিস্তারের চেষ্টা করিয়াছিল, উপযুক্ত নেতার অভাবে অবশেষে তাহার শাস্ত ভাব অবলম্বন করিতে বাধা হয। প্রথমে কতলু তাহার পর ওসমান তাহাদিগের নেতৃত্ব স্বীকার করিয়া প্রাণপণে মোগলের সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন। আজিম খাঁ, ওযাজির খাঁ, মানসিংহ প্রভৃতি প্রধান প্রধান সুবেদার ও সেনাপতিগণ তাহাদিগের সহিত অনেক বার রণক্রীড়াব অভিনয় করিয়াছিলেন। পরে ওসমানের পতন হইতে তাহারা হীনবীৰ্য্য হইয় পড়ে, ও শান্ত ভাব অবলম্বন করিতে বাধ্য হয় । এইরূপে ক্রমে ক্রমে বঙ্গ ভূমিতে ভুইয়া “ণেব, পটুগীজগণের ও পাঠানগণের প্রাধান্ত নষ্ট করিয়া মোগলের তথtয় শাস্তি স্থাপনে সমর্থ হন । আমরা দেখাইলাম যে, ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগ হইতে সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগ পর্য্যন্ত বঙ্গভূমি কিরূপ অশান্তিময় হইয়া উঠিয়াছিল । মোগল, পাঠান, মগ, ফিরিঙ্গী ও বাঙ্গালীর অস্ত্রঝঞ্চন ও