পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እዋ সেই সময় তাহার নিকট সংবাদ পৌছিল যে, মোগল সৈন্তগণ বঙ্গের দ্বার তেলিয়াগুড়ি অধিকার করিয়াছে। তখন তিনি আপনার সমস্ত বহুমূল্য ধনসম্পত্তি রক্ষার ব্যবস্থা করিয়া উড়িষ্যা অভিমুখে যাত্রা করেন। মুনিম খাঁ টাড়ায় উপস্থিত হইয়া রাজা তোড়রমল্লকে দাযুদের বিরুদ্ধে পাঠাইয়া দেন। সেই সময়ে ঘোড়াঘাট প্রদেশস্থ আফগান জায়গীরদারদিগকে দমন করিবার জন্তও মুজেনন র্থ কাকশাল প্রেরিত হইয়াছিল। তিনি আফগানদিগকে দমন করিয়া তাহদের জায়গীর আপনার স্বজাতি কাকশালদিগকে প্রদান করিয়াছিলেন। রাজা তোড়রমল্ল মাদারুণ বা বীরভূম পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইলে, তাহার সাহায্যের জন্ত মহম্মদ কুলী থার অধীনে আর এক দল মোগল সৈন্ত প্রো.ত হয়। তাহারা কিয়দ্র অগ্রসর হইয়া, আফগান সর্দার জোনিয়েদকে পরাস্ত করে ও দাযুদের পশ্চাদ্ধাবন করিয়া মেদিনীপুর পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হয়। এই সময়ে মহম্মদ কুলী খাঁর মৃত্যু হইলে মোগল কৰ্ম্মচারিগণের সহিত রাজা তোড়রমল্লের মতদ্বৈধ ঘটায়, তিনি বৰ্দ্ধমানে ফিরিয়া আসেন। মুনিম খাঁ তাহার সাহায্যের জন্ত আর এক দল সৈন্ত পঠাইয়া দেন। অবশেষে নিজে সসৈন্তে র্তাহার সহিত যোগ দিয়া উড়িষ্যাঅভিমুখে অগ্রসর হন। দায়ুদ্র কটকের নিকট যুদ্ধে পরাজিত হইয়া কটকের দুর্গমধ্যে আশ্রয় লইতে বাধ্য হন ; তাহার পর তিনি বাদসাহের বগুত৷ স্বীকার করিয়া সন্ধি করিয়াছিলেন। তাহতে র্তাহাকে উড়িষ্যা প্রদেশ প্রদান করা হইয়াছিল। মুনিম খাঁ তাহার পর টাড়া অভিমুখে প্রত্যাবৃত্ত হন । এই সময়ে ঘোড়াঘাটের আফগানগণ মুজেনন খাকে বিতাড়িত করিয়া প্রায় গৌড় পর্য্যস্ত অধিকার করিয়া বসে । তাহার পর মোগল সৈন্ত্যগণ তাহাদের বিরুদ্ধে গমন করিলে, তাহারা পলায়ন করিয়া বনে জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহণ করে। মুনিম খা বাঙ্গলার প্রাচীন রাজধানী গৌড়ের পূর্ব বিবরণ অবগত