পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ সময় অতিবাহিত করিয়াছিলেন। তাহার পর মানসিংহ আফগানদিগের সহিত ঘোরতর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন। র্তাহার পুত্র জগৎসিংহ আফগানদিগের হন্তে বন্দী হইয়া কোনরূপে নিস্কৃতি লাভ করেন। তাহার পর কতলুর্থার মৃত্যুর পর কিছুকাল উড়িষ্যায় আফগানগণ শান্তভাব অবলম্বন করিয়াছিল। কিন্তু মানসিংহকে সমগ্র বঙ্গের স্বাধীন আফগান ও অন্তান্ত ভূইয়াদিগের সহিত যুদ্ধে ব্যাপৃত থাকিতে হইয়াছিল। পুনৰ্ব্বার আফগান সর্দার ওসমান বহুসংখ্যক সৈন্ত লইয়া বাঙ্গল রাজ্য আক্রমণ করে, কিন্তু সেরপুর আতাইয়ের যুদ্ধে মানসিংহের নিকট সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইয়া যায়। তদবধি বহুদিন পর্য্যন্ত আফগানগণ আর মোগল সৈন্তের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণে সাহসী হয় নাই। ঘৎকালে মোগল ও পাঠানের অস্ত্রঝঞ্চনায় সমগ্র বঙ্গভূমি সন্ত্রস্ত হইয় উঠিয়াছিল, সেই সময়ে বাঙ্গালীগণ নিতান্ত নিজীবের ন্তায় নীরবে পল্লীচ্ছায়ায় সময় অতিবাহিত করে নাই। এই বাঙ্গালীগণও সেই সময়ে বন্দুক, তরবারি ধারণ করিয়া । ষোড়শ শতাব্দীর সেই রণক্রীড়ায় যোগদান করিয়াছিল। বাঙ্গল দেশ অনেক দিন হইতে যে বারভূইয়ার মুলুক বলিয়া বিখ্যাত ছিল, সেই বারভূইয়াগণ স্ব স্ব সত্ত্ব রক্ষার জন্ত অস্ত্ৰধারণ করিয়া, মোগলপাঠানের বিরুদ্ধে অভূখিত হইয়াছিলেন। মোগল পাঠান ভিন্ন তাছাদের আরও দুই ভীষণ শক্র সে সময়ে বঙ্গদেশে অনর্থ উপস্থিত করিয়াছিল। তাহার মগ ও ফিরিঙ্গী। এই চারি শক্রর বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া বাঙ্গালী ষোড়শ শতাব্দীতে একবার বাহুবলের পরিচয় প্রদান করিয়াছিল। বারভূইয়ার মধ্যে অধিকাংশ মুসন্মান হইলেও, অবশিষ্ট যায়ার হিন্দু ছিলেন, তাহাদিগের অধীনে পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গের অনেক স্থান অবস্থিত ছিল। এই হিন্দু ভুঁইয়াগণের অধীন বাঙ্গালী সৈন্ত ও সেনা ষোড়শ শতাব্দীর वांक्रांलौ ।