পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇలి পতিগণ ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে ও সপ্তদশ শভাব্দীর প্রথমে যে রণত্রীড়ার পরিচয় দিয়াছে, তাহা স্মরণ করিলে, হৃদয় উৎফুল্ল হইয়া উঠে। আমাদের বর্তমান অবস্থায় তাহা আরব্য উপহাসের ছায় আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয় । মোগলগণ তাহাদের স্বাধীনতা লোপে অগ্রসর, পাঠানগণ তাহদের ভূমি হরণে ব্যস্ত, মগ, ফিরিঙ্গিগণ তাহদের সর্বস্ব লুণ্ঠনে ব্যাপৃত ; এরূপ অবস্থায় ভাহার একমাত্র আপনাদিগের বাহুবল আশ্রয় করিয়া সকলেরই বিরুদ্ধে উত্থিত হইয়াছিল। তাহাদের এই • বীরত্বকাহিনী মুসল্মান ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করিয়াছেন, ইউরোপীয় পরিত্রাজক জগতে প্রচার করিয়া গিয়াছেন। র্তাহাদের নিকট উক্ত ভু ইয়াগণ ক্ষমতাশালী রাজা বলিয়া অভিহিত হইয়াছেন। সেই প্রতাপাদিত্য, কেদার রায়, রামচন্দ্র রায়ের কীৰ্ত্তিকাহিনী বাঙ্গালীর নিকট যে গৌরবের সামগ্রা, তাহা কি বলিতে হইবে ? তাহারা মোগল, পাঠান, মগ, ফিরিঙ্গীর সহিত জলযুদ্ধে ও স্থলযুদ্ধে আপনাদের যে কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন, তাহা হইতে বাঙ্গালী নামের ঘূর্ণাম দূরীভূত হইবে বলিয়া আশা করা যায়। ভূঁইয়াগণের ন্তায়, লক্ষ্মণমাণিক্য, মুকুন্দরাম প্রভৃতি অন্তান্ত জমাদারগণও আপনাদের বাহুবলের অল্প পরিচয় প্রদান করেন নাই । ফলতঃ যোড়শ • শতাব্দীর রাজনৈতিক আন্দোলনের সহিত বাঙ্গালীর সম্বন্ধ অবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যমান রহিয়াছে। এই সময়ে সাধারণতঃ দক্ষিণ বঙ্গ বা অনারবন এই রণক্রীড়ার রঙ্গমঞ্চ হইয়াছিল। বিশেষতঃ এইখানে প্রতাপাদিত্যের অক্ষয় কীৰ্ত্তি বিঘোষিত হয়। আমরা সেই সুন্দরবনের একটি আসুপূর্ষিক বিবরণ প্রদান করিয়া বারভূইয়াগণের, এবং তাহাদের মধ্যে বিশেষ ভাবে প্রতাপাদিত্যের বিবরণ আলোচনা করার চেষ্টা করিতেছি। তদ্ভিন্ন অঙ্গাষ্ঠ ব্যক্তির বিষয়ও আলোচিত হইবে। - প্রকৃতির র্যনিকেতন, বহনদনদী-পরিপূর্ণ গুম্বারুমানদিগম্ভ স্কার