এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
©ዋ
- হয়। প্রতাপাদিত্যের পিতা রাজা বিক্রমাদিত্য গৌড়ের রাজা গ্লস্ট্রেনিকট হইতে উক্ত জায়গীর লাভ করিয়া তাহাতে যশোর নগরের করেন। বহু প্রাচীনকাল হইতে যশোরের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। কুন্তু তাহ রাজা বিক্রমাদিত্য কর্তৃক একটি সুন্দর নগরে পরিণত হইয়া ম এক বিশাল রাজ্যের রাজধানী হয়। এই বিশাল রাজ্যের অধিকাংশই সুন্দরবনের অন্তর্গত ছিল। রাজা প্রতাপাদিত্য উক্ত যশোর নগরের নিকট ধূমঘাট নামক এক বিস্তৃত নগরের পত্তন করিয়া যশোর রাজ্যকে অনেক গ্রামনগরে ভূষিত করেন। তাহার সময়ে যশোর রাজ্য বাঙ্গলার একটি প্রধান জনপদ হওয়ায় দুর্গম সুন্দরবন লোকের পক্ষে সুগম হষ্টয় উঠে। কিন্তু তখনও সুন্দরবনের নিবিড় অরণ্য সমভাবে বিদ্যমান থাকিয়া ব্যাঘ্র, গগুর, কুম্ভীরের আশ্রয়স্থানরূপে বিরাজ করিত। প্রতাপদিত্যের সময় যে সকল জেসুইট পাদরী এতদ্দেশে আগমন করিয়াছিলেন, র্তাহীদের বিবরণে সুন্দরবনের যে বর্ণনা দৃষ্ট হয়, তাহাতে তাহার নিবিড় অরণ্য ও বন্ত জস্তুর উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ও র্তাহার স্থাপিত গ্রাম, নগর, গড়, চত্তর প্রভৃতির চিহ্ন অদ্যপি সুন্দরবনের মধ্যে বিদ্যমান থাকিয়া ষোড়শ শতাব্দীতে ইহা কিরূপ গৌরবময় হইয়াছিল তাহার পরিচয় প্রদান করিতেছে ।
সপ্তদশ শতাব্দী হইতে আবার ইহার জনপদসমূহ নিবিড় অরণ্যে পরিণত হইতে আরম্ভ হয়। যে কারণে সুন্দরষনের নিবিড় অরণ্য নিবিড়তম হয়, সাধারণতঃ তাহার দুইটি কারণ অমুমিত হইয় থাকে। তাহার প্রথম কারণ জলপ্লাবন ও ভূমিকম্প এবং দ্বিতীয় কারণ মগ ও ফিরিঙ্গী জলদ্বস্বাগণের অত্যাচার। এই দুই কারণে ইহার অধিবাসিগণ ইহার মধ্যস্থ গ্রাম নগর পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হওরায় সুন্দরবনের সপ্তদশ শতাব্দী, আবার ধ্বংসারম্ভ ।