পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VLA বাসিগণ তজ্জন্ত যে স্থানান্তরে পলায়ন করিতে বাধ্য হইয়াছিল, তাহ। অনায়াসে অনুমান করা যাইতে পারে । উক্ত দুই প্রাকৃতিক বিপ্লব ব্যতীত সুন্দরবন এক সময়ে মগ ও ফিরিঙ্গি দম্যগণের লীলাভূমি হইয়াছিল। ইউরোপীয় পরিব্রাজকগণের বর্ণনায় সুন্দরবনের দস্থ্যর বিষয় অবগত হওয়া যায় । খৃষ্টীয় ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে মগ ও ফিরিঙ্গিগণের ক্ষমতা অত্যন্ত প্রবল হইয়া উঠে। পটুগীজগণ এতদ্দেশে বাণিজ্যার্থ সমাগত হইয়া ক্রমে বাস করিতে আরম্ভ করে। পরে অন্তান্ত ইউরোপীয় বণিকৃগণের প্রতিদ্বন্দ্বিতীয় ভগ্নোদ্যম হইয়া দস্থাত অবলম্বন করিয়া জলপথে নানাপ্রকার অত্যাচার করতে প্রবৃত্ত হয়। এই জলদস্থ্যগণের মধ্যে গঞ্জলেস ফিরিঙ্গীর নামই দেশবিখ্যাত হয় । ইহার অধিবাসিগণের সৰ্ব্বস্বলুণ্ঠন ও পুত্রকন্যা হরণ করিযা তাহাদিগকে দাসরূপে বিক্রয় করিত। সাজাহানের রাজত্বকালে পটুগীজগণের প্রাধান্তের ধ্বংস সম্পাদিত হয়। পটুগীজ বা ফিরিঙ্গিগণের দ্যায় আরাকানী বা মগগণও দস্থ্যতা অবলম্বন করিয়া নিমবঙ্গে বিশেষতঃ সুন্দরবনে নানারূপ অত্যাচার করিত । বাকলা বা বৃকরগঞ্জে তাহদের অত্যাচার ভাষণরূপ ধারণ করিয়াছিল । কোন কোন গ্রন্থে এই মগ অত্যাচারের কথা লিখিত আছে । * মেজর রেনেলের সুন্দরবনের মানচিত্রে বাকরগঞ্জের দক্ষিণ অংশ মগগণ কর্তৃক জনশূন্ত হইয়াছে বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে । ফলতঃ ফিরিঙ্গী ও মগদিগের অগফিরিঙ্গীর অত্যাচার ।

  • বাকল চন্দ্রদ্বীপের মগ অত্যাচারের কথা ভবিষ্যপুরাণে এইরূপ লিথিত আছে –

“মগঞ্জাতিশস্ত্রপাতৈ মৰ্ত্তব্য সকলাঃ প্রজt: । মগাধিকারো ভাবী চ বেদত্রষ্টে ভবিষ্যতি ॥ মগাস্তে যবনে ভাবী কষ্কিদেনবিধিদ্বিজাঃ ॥” কুলাচাৰ্য্যগণের গ্রন্থে বাকল চন্দ্রদ্বীপের রাজগণেব ও যানরিপাড়ার ঠাকুরতাগণের সহিত মগফিরিঙ্গীর যুদ্ধের কথা উল্লিখিত হইয়াছে।