পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to বা সুন্দরবনের অন্তভূক্ত ছিল, অনেক স্থলে এইরূপ উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। সেই জন্ত হিজলীর মসনদআলিগণ অন্ততম ভূইয়া হইলেও হইতে পারেন। কিন্তু জেসুইট পাদরীগণের আগমনের পূৰ্ব্বে ১৫৮৪ খৃঃ অব্দে তাহাদের অন্তৰ্দ্ধান ঘটিয়াছিল । তবে মোগলবিজয়ের সময় তাহারা বর্তমান ছিলেন বলিয়া, তাহার জেসুইট পাদরীগণের উল্লিখিত নয় জনের অন্যতম হইতেও পারেন । কিন্তু আমরা সে বিষয়ে বিশেষ কোনও প্রমাণ দেখিতে পাই না । উক্ত নয় জনের মধ্যে অনেকে ঘোড়াঘাট বা রঙ্গপুর প্রদেশে অবস্থিতি করিতেন। কারণ, তৎকালে ঘোড়াঘাট প্রদেশ পাঠানদিগের অন্ততম প্রধান বাসস্থান ছিল, এবং মোগলদিগকে ঘোড়াঘাট জয় করিতে অনেক কষ্ট পাইতে হইয়াছিল । ফলতঃ, আমরা বিশিষ্ট প্রমাণে কেবল চারি জন ভূইয়ার বিষয় অবগত হইতে পারিয়াছি । সুথের বিষয়, তন্মধ্যে তিন জন বাঙ্গালীরই বিবরণ জানা গিয়াছে। সেই তিন জন বাঙ্গালী ভূইয়া কিরূপে আপনাদের বাহুবলের পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহা জানিবার জন্ত বাঙ্গালীমাত্রেরই কৌতুহল হইতে পারে। আমরা তাহদের যথাযথ বিবরণপ্রদানের চেষ্টা করিব। কিন্তু প্রথমতঃ আমরা ভূইয়াগণের সর্বপ্রধান ইশাখার কিঞ্চিৎ বিবরণ প্রদান করিতে ইচ্ছা করি। কারণ, তদ্বারা পাঠানের বঙ্গদেশে মোগলদিগকে কিরূপ ভাবে বাধা দিয়াছিল, তাহার বিশদ বিবরণ অবগত হওয়া যাইবে । ইশাখার বিবরণের পর আমরা তিন জন হিন্দু ভূ ইয়ার বিবরণ প্রদান করিব । বাঙ্গলার শেষ পাঠান নরপতি দায়ুদের অবসানের পর যদিও মোগলের গৌড়ে রাজধানী স্থাপন করিয়া বঙ্গরাজ্যশাসনে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তথাপি পাঠানের ও অন্তান্ত ভূইয়ার প্রথমে তাঙ্গদিগের অধীনতা স্বীকার করিতে চাহেন নাই। এই সময়ে উড়িষ্যার এবং পূৰ্ব্ব ও উত্তর-বঙ্গে পাঠান-বংশীয়েরা আপনাদিগের ইশা খা ।