পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃ¢» স্বলিত করিয়াছেন, তথাপি র্তাহার অন্যান্য যে সদ্‌গুণাবলী ছিল, তাহার আলোচনায় মহাকবি ভবভূতি লিখিত লোকোত্তরদিগের চিত্ত “বজ্রাপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি” স্মরণ করিয়া আমাদের আশ্বস্ত হওয়া উচিত। বিশেষতঃ বাঙ্গালী জীবনে যিনি স্বাধীনতার রসাস্বাদে নিজ আত্মাকে তৃপ্ত করিয়াছিলেন, তিনি যে বাঙ্গালীর গৌরবের বস্তু ইহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। যদি কেহ একবার স্বাধীনতার শ্মশানভূমি যশোর বা ঈশ্বরীপুরে উপস্থিত হন, তিনি দেখিতে পাইবেন, দেবী যশোরেশ্বরীর ভগ্ন মন্দির হইতে আরম্ভ করিয়া বহুদূর বিস্তৃত ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ভগ্নাবশেষ আজিও প্রতাপের কীৰ্ত্তির সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। তাহার সেই পঞ্চক্রোশী রাজধানী ধূমঘাট, এক্ষণে জঙ্গল বা প্রান্তরে পরিণত হইলেও, তাহার দুর্গ রণযান ও গোলাগুলি নিৰ্ম্মাণ প্রভৃতি স্থানের নিদর্শন আজিও ধরণী:পৃষ্ঠ হইতে মুছিয়া যায় নাই। আজিও সেই সেই স্থানে বিচরণ করিলে স্বাধীনতা-লক্ষ্মীকে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্ত বঙ্গপ্রতিভা কিরূপ পাদ্যঅর্ঘ্যের আহরণ করিয়াছিল, তাহ অনায়াসেই উপলব্ধি করা যায়। কালিনী, যমুনা ও ইচ্ছামতীর সলিলবিধৌত সেই নিবিড় অরণ্য সমুদ্রসাক্ষী করিয়া আজিও প্রতাপের গৌরবের পরিচয় দিতেছে। যে প্রতাপ বঙ্গবাসীর আদরের বস্তু দুঃখের বিষয় তাহার প্রকৃত ইতিহাস পাইবার উপায় নাই । প্রবাদ তাহাকে এরূপ সমাচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছে যে, তাহাকে ভেদ করিয়া ইতিহাসের ক্ষীণালোক প্রকাশিত হইতে পারিতেছে না। আমরা , সেই ক্ষীণালোকসাহায্যে প্রতাপের যাহা কিছু দেখিতে পাইয়াছি, তাহাই সাধ্যানুসারে প্রদান করিতে চেষ্টা করিব। সকলে স্মরণ রাখিবেন, আমরা ঐতিহাসিক প্রতাপকে চিত্রিত করিতে প্রয়াস পাইব । ঐতিহাসিক প্রতাপের চিত্র যে উজ্জল হইবে, সে ভরসা আমাদের নাই। কারণ, আমরা বলিয়াছি যে, ইতিহাসের ক্ষীণালোক আমাদের সহায়। অনেকের মানস