পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brg রাখিয়াছিল। প্রতাপাদিত্য সময়ে সময়ে যশোর রাজ্যের সীমা অতিক্রম করিয়াও থাকিবেন, কিন্তু তাহা সাময়িক বলিয়াই অনুমিত হয়। পূর্বে এই প্রদেশের অধিকাংশই চাদ খাঁ মসনদ আলির জায়গীর ছিল। এই চাদ খাঁ মসনদ আলি কোন বংশীয় ছিলেন, তাহার বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বেভারিজ সাহেব তাহাকে বাগেরহাটের সুপ্রসিদ্ধ খাজাহান আলির বা খাগুলির সহিত সম্বন্ধ করতে চাহেন। চাদ খা তাহার সহিত কি হিজলীর মসনদ আলি বংশের সহিত সম্বদ্ধ ছিলেন তাহাব বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না । তৎকালে পাঠান সাধারণেই মসনদ আলি উপাধি গ্রহণ কবিতেন ; সুতরাং বিশেষ প্রমাণ না থাকিলে মসনদ আলিগণের পরস্পরে সম্বন্ধ স্থির করা বড়ই দুর্ঘট হষ্টয় উঠে। * চাদ খাঁর পরে বিক্রমাদিত্য এই যশোর জায়গীরের একাধিপত্য লাভ করেন। এবং প্রতাপাদিত্যের সময় তাহা একটি বিস্তৃত রাজ্যে পরিণত হয়। যশোর নগর ও রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করিয়া বিক্রমাদিত্য আপনার সমস্ত পরিবারবর্গকে যশোরে পাঠাইয়া দেন। ভবানন্দ তাহাদিগের ধনরত্নাদি নৌকা পূর্ণ করিয়া সপরিবারে যশোরে আসিয়া উপস্থিত হন। এই সময়ে প্রতাপ প্রথমে আপনার ভবিষ্যৎ লীলাভূমিতে আগমন করেন। বিক্রমীদিতা, বসন্ত রায় ও শিবানন্দ এই তিন জনে সরকারী কার্য্যে নিযুক্ত থাকায় গৌড়ে অবস্থিতি করিতে বাধ্য হন । আনুমানিক ১৫৭৪ খৃঃ অব্দে যশোর নগর ও রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল । দাযুদের সহিত সন্ধি স্থাপিত হওয়ায় বাদসাত আকবর সন্তুষ্ট হন নাই। লোদীখাও মৃত্যুর পূৰ্ব্বে শ্ৰীহরি কতলু ও দায়ুদকে মোগলের আক্রমণ বাধা দিবার জন্য বারংবার অনুরোধ করিয়াছিলেন । যশোরের শ্ৰীবৃদ্ধি। কাজেই উভয় পক্ষের মধ্যে আবার সত্বর যুদ্ধ বাধিয়া tan c ( هاد ) .