পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२७' (2ऊिठ्6-°व्लन् । “ তবে রামকান্ত বলিবে ।” * “সে কখনও জানিয়া-শুনিয়া তাহাকে পলাইতে দিবে না।” “মহাশয়, আপনার নিকটে' গোপন করিব না।--আপনাকেই আমরা সন্দেহ করিয়াছি।” “আমাকে । কেন ?” “হাবার সহিত আপনার ছেলের দেখা হইবার সমস্ত বন্দোবস্ত স্থির হইয়া গিয়াছে—এমন সময়ে হাবা পলাইল, ইতাতে কি মনে হয় ? কাহার স্বার্থে হাবাকে সরাইয়া দেওয়া ? আপনি ও আপনার গুণবান। পুত্ৰ জানিতেন যে, হাবা তাহাকে দেখিলেই চিনিতে পরিবে, সেজন্য হাবাকে সরাইয়া দেওয়া হইয়াছে। এখন আপনি কি বলিতে চাহেন ?” “আপনি কি বলিতেছেন, আমি কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না । ইহাই যদি হইবে, তবে আমি হাবাকে তাহার কাছে আনিবার জন্য আপনাকে এত জেদ করিব কেন ?” “সেটা আপনি ভাল জানেন ।” “তাহা হইলে আপনি स्रोमांकि এ বিষয়ে দোষী মনে করিতেছেন ?” “আমি কাহাকেও দোষী মনে করি না ; আমি এতদিন আপনাকে বন্ধুভাবে দেখিয়াছি-সে সম্বন্ধ আজ হইতে বিনষ্ট হইল-যান,” বলিয়া সাহেব গাড়ীতে গিয়া উঠিলেন। গাড়ী চলিয়া গেল । গোবিন্দরাম কিয়ৎক্ষণ কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া অবান্মুখে তথায় নীরবে দাড়াইয়া রহিলৈন। জীবনে তঁাহার কখনও এ অবস্থা হয় নাই ; র্তাহার বোধ হইল, যেন এ বৃদ্ধ বয়সে এতকাল পরে তঁহার পদতল হইতে পৃথিবী সরিয়া যাইতেছে । গোবিন্দরাম গৃহে ফিরিলেন। কি করিবেন, সমস্ত রাত্রি তাহাই চিন্তা করিলেন ; ভাবিলেন, “ইহার ভিতরে স্পষ্টতই একটা গুরুতর