পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eडिख्त->itव्लन । S80 এই সময়ে গাড়ী ছাড়িয়া দিল। এত কষ্ট করিয়া। এতদূর ঘনশুষ্ঠামের পশ্চাতে পশ্চাতে আসিয়া তাহাকে হারাইতে হইল! তাহার চোখের উপরে সে রেলে উঠিয়া চলিয়া গোল-কোথায় গেল, তাহ সে কিছুই জানিতে প্লারিল না ; গোবিন্দরাম শুনিলে কি বলিবেন ? আর উপায় নাই-ঘনশ্যাম কোথাকার টিকিট লইয়াছিল, তাহা জানিবার কোন উপায় নাই-টিকিট-বাবু তাড়াতাড়ি টিকিট দিয়াছেন, কে কোনখানা লইল, কিরূপে জানিবেন ? তবে রামকান্ত অনুসন্ধানে জানিল যে, এ গাড়ী নৈহাটী পৰ্যন্ত যাইবে, সুতরাং ঘনশ্যাম নৈহাটীর অধিক যাইতে পরিবে না । এইবার সেই মুদীর কথা তাহার মনে হইল ; তবে ঘনশ্যামু। এই স্ত্রীলোকের সহিত মিলিত হইয়া একত্রে কোন স্থানে গেল। ভাবিল, “সেই বী-ত্যাহা হইলে নিশ্চয়ই সেই মৃত স্ত্রীলোকের দাসী-খুনের দিন হইতে সে নিরুদেশ, সুতরাং সে নিশ্চয়ই জানে কে খুন করিয়াছে ; সম্ভবতঃ সে এই খুনের সহায়তা করিয়াছিল, তাহাই পলাইয়াছে। আমি কি গাধা—দুইজনকে হাতে পাইয়াও পলাইতে দিলাম! এখন উপায় ?” রামকান্ত এই সকল ভাবিয়া যেন নিজেরই গাড়ীর চাকায় নিজেই চাপা পড়িবার মত হইয়া নিজের উপরে নিতান্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ হইল। রামকান্ত তখন মুদীর সন্ধানে গেল। সে দেখিয়াছিল যে, মুদী গাড়ীতে উঠে নাই-বোধ হয়, পরের গাড়ীর অপেক্ষায় বসিয়া আছে ; নৈহাটী হইতে সে আরও দুরে যাইবে। যথার্থ ‘তাঁহাই, মুদী দেশে যাইতেছিল, তাহার গাড়ী আসিবার দেরি আছে বলিয়া সে তাহার মাল-পত্ৰ লইয়া একাধারে বসিয়াছিল। রামকান্ত তাহার নিকটে আসিয়া বসিল ; বলিল, “তুমি কতদূর যাইবে হে ?” , 2- So