পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিজ্ঞা-পালন Šጫፅ÷ গোবিন্দরাম গভীরভাবে বলিলেন, “আমি এখন যাহা ভাৱিতেছিতাহা সমস্তই অনুমান মাত্র ; এখনও কোন প্ৰমাণ পাই নাই। ভগবান করুন, আমি যাহা ভাবিতেছি, তাহাই যেন ঠিক হয়। এখনও পনের দিন সময় আছে-এই পনের দিনের মধ্যে সুরেন্দ্রের ফাসী হইবে না। ভগবান নিশ্চয়ই আমাদের সহায় হইবেন । এই পনের দিনের মধ্যে সমস্ত রহস্যেরাই উদ্ভেদ করিতে হইবে।” Nobo রামকান্তকে কৃতান্তের অনুসরণ করিতে পাঠাইয়া গোবিন্দরাম সুহাসিনীয় জননীকে একখানি পত্র লিখিতে আরম্ভ করিলেন। , র্তাহাকে কন্যা সম্বন্ধে বিশেষ সাবধান হইতে অনুরোধ করিলেনর্দি আরও লিখিলেন যে, সুরেন্দ্রের খালাস পাইবাশ্ন দিশেষ সম্ভাবনা খাইছে, হতাশ হইবার কোন কারণ নাই । ‘‘ ۱۔ তিনি পত্ৰখানি বন্ধ করিতেছিলেন, এমন সময়ে স্নানমুখে রামকাণ্ড তথায় আসিয়া উপস্থিত হইল। এত শীঘ্ৰ যে সে ফিরিবে, ইহা গোবিন্দরািঞ্জ আশা করেন নাই। সেইজন্য একটু বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “কি ব্যাপায়, এত শীঘ্ৰ ফিরিলে যে ?” রামকান্ত বিষন্নভাবে বলিল, “সয়তান তাহার সহায়-ঐবারও সে আমার চোখে ধূলা দিয়াছে।” “সে কি ! তুমি বড় অসাবধান।” “হঁ, কি করিব ? সে একেবারেই বাড়ীতে যায় নাই, ঘনশ্যামের ষে ঠিকানা দিয়াছিল, সেখানে গিয়া জানিলাম, ঘনশ্যামও আজ সকালে রেলে কোথায় গিয়াছে।”