পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ۹ ধ্ৰুপ্ৰতিজ্ঞা-পালন । डांद, মাথায় মুসলমানী টুপী, পরিধানে লুঙ্গি, সঙ্গে মুটের মঙ্খখািন্ত্র এই মুটে গোবিন্দরামের বহুকালের বিশ্বাসী ভৃত্য। গোবিন্দরামকে দেখিলে নব্য বাঙ্গালী যুবক বলিয়া বোধ হয়, তঁহার পরিধানে রেলির থান, তাহার উপর চুপকান, হাতে G গ্লাডষ্টোন বাগ । তাহারা সেই রাত্ৰিতেই সিমলার বাড়ী পরিত্যাগ করিলেন। একখানা গাড়ী আনিয়া রামকান্ত শিয়ালদহ ষ্টেশনে গেলে, তথা হইতে প্ৰাতের গাড়ীতেই রওনা হইবে। গোবিন্দরাম আর একখানা গাড়ীতে বেলঘরিয়ার দিকে চলিলেন । রামকান্ত ঘুঘুড়াঙ্গা ও দমদমা ক্যান্টনমেন্ট প্রভৃতি স্থানে প্রায় বাড়ী বাড়ী ঘুরিলেন, কিন্তু কৃতান্ত বা ঘনশ্যাম বা সেই বীর কোন সন্ধানই পাইলেন না, তখন তিনি সোদপুর রওনা হইলেন। বেলঘরিয়া দেখিয়া গোবিন্দরামের খড়দহ দেখিবার কথা ছিল । বেলঘরিয়ায় গিয়া গোবিন্দরামের সহিত বিনয়কুমার নামে একটি ভদ্রলোকের দেখা হইল ; কথায় কথায় সুধামাধব ও বিনোদিনীর খুনের কথা উঠিল । তিনি বলিলেন, “সুধামাধব আমার বিশেষ বন্ধু ছিলেন।” গোবিন্দরাম বিস্মিতভাবে বলিলেন, “তাহা হইলে আপনি খুনের মোক দমায় সাক্ষ্য দিয়াছিলেন ।” “না, আমাকে কেহ ডাকে নাই, আমি অনৰ্থক সাক্ষ্য দিতে যাইব কেন ? তবে আমি তাহার সকল কথাই জানিতাম। তিনি যেদিন খুন হ’ন, সেদিন অনেক রাত্রে আমার সঙ্গে সেই বাড়ীর কাছে তাহার দেখা হইয়াছিল।” গোবিন্দরাম বিস্ময় প্ৰকাশ করিয়া বলিলেন, “তাহা হইলে আপনি এ বিষয়ে সকলই জানেন ; আমি কতক শুনিয়াছিলাম।”