পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98 eङिख्@|-°iब्जन्म । মহাবেগে মহাশব্দে ধূম উদগীরণ করিতে করিতে ডাকগাড়ী মহাকায় ক্রুদ্ধ দৈত্যের মত ছুটিয়া আসিতেছে ; অপর দিকে হাওয়া চলিতেছিল বলিয়া, গাড়ীর শব্দ লীলার কৰ্ণে প্ৰবিষ্ট হয় নাই। আর তাহার রক্ষা পাইবার কোন আশা নাই। ডাইভার তাহাকে দেখিল, কিন্তু গাড়ী থামাইবার তখন “আর সময় নাই। কি সর্বনাশ ! একজন কেবল এ অবস্থায় লীলার প্রাণরক্ষা করিতে পারে-সে তাহার পিতা-গোপাল। এখনও গাড়ী পয়েণ্টে আসে নাই ; গোপাল ইচ্ছা করিলে, পয়েণ্ট ছাড়িয়া দিলে গাড়ী অন্য লাইনে চলিয়া যাইতে পারে ; যে লাইনের উপর লীলা আছে, তাহার উপর দিয়া যাইবে না । তবে ইহাতে গাড়ী যে লাইনে যাইবে, তাহা বন্ধ থাকিতে পারে, তাহাতে অন্য গাড়ী আসিতে পারে, সুতরাং এই প্ৰবল বেগবান গাড়ী তাহার উপর গিয়া চুৰ্ণবিচূর্ণ হইবে—গাড়ীর সমস্ত আরোহী এক নিমেষে মৃত্যুমুখে নিক্ষিপ্ত হইবে। এক নিমেষের জন্য গোপালের মনে এ কথা উদিত হইল-আমনই সঙ্গে সঙ্গে কে যেন বলিল, “শত সহস্রের প্ৰাণ তোমার হাতে-এ দুর্ঘটনার দায়ী তুমি, তাহা হইলে নরকেও তোমার স্থান হইবে না ।” গোপালের চোখের উপর ঝকিল, লোমহর্ষণ দৃশ্য-যেন তাহার প্ৰাণের লীলার উপর দিয়া গাড়ী চলিয়া যাইতেছে, লীলার দেহ পেষিত হইয়া টুকরা টুকরা মাংসপিণ্ডে পরিণত হইয়াছে। কি ভয়ানক । গোপালের মাথার সমুদায় চুলগুলা রুষ্ট সজারুর কঁাটার ন্যায় সোজা হইয়া দাড়াইয়া উঠিল। তাহার চক্ষু হইতে তারাদ্বয় যেন ছিন্ন হইয়া বাহির হইতে চায়। সহসা বিদ্যুতের ন্যায় চকিতে তাহার মনে একটা কথা উদিত হইল, যদি গাড়ী অপর লাইনে দিই।--তাহা হইলে ষ্টেশন চাইতে আমার ভুল দেখিতে পাইবে, ষ্টেশন। এখান হইতে অনেক দুর,