পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯

༤ eडिख-०iलन | গিয়াছে। কেবল দূরে দূরে দুই-একটী আলো স্তিমিতভাবে জলিতেছিলতাহাতে আলো না হইয়া চারিদিকে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হইয়াছে। তবে মধ্যে মধ্যে বিদ্যুৎ চমকিত হইতেছে—তাহাতে পথ কথঞ্চিৎ দেখা যাইতেছে- সে চকিত বিদ্যুতের আলোকে রাস্তার জল চকমক করিয়া উঠিতেছে। পথে জনমানব নাই-কুকুর শৃগাল পৰ্য্যন্ত এই দুৰ্য্যোগে যে যেখানে পাইয়াছে, আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছে ; এ দুৰ্য্যোগে এত রাত্রে কে এ সময়ে বাহির হইবে ? কেবল দুইজন পাহারাওয়ালা একটী আলোকস্তম্ভের নিকট দাড়াইয়াছিল। "ইহারা দুইজনে দুইদিক হইতে পাহারা দিতে দিতে আসিয়া এই স্থানে মিলিত হইয়াছিল। একাকী নির্জন পথে ঘোর অন্ধকারে, বিশেষতঃ এই দুৰ্য্যোগে ঘুরিয়া বেড়াইতে ক্লেশ অনুভব করিয়াই ইহারা পরস্পর সম্মুখীন হইয়া দাড়াইয়া কথোপকথন করিতেছিল। উভয়েরই মন্তকে বৃহৎ তালপাতার হাত ছিল, হাতে পুলিসের লণ্ঠন ছিল-তখনও টিপ টপ করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছিল, সুতরাং ছাতা মাথায় দিয়া উভয়ে দাড়াইয়াছিল। কিন্তু এত প্ৰবলবেগে বায়ু বহিতে ছিল যে, তাহারা অতি সবলে ছাতি ধরিয়াছিল, তবুও ছাতি হাত হইতে মধ্যে মধ্যে উণ্টইয়া পড়িয়া যাইতেছিল। একজন বলিল, “দেশে অল্পের সংস্থান থাকিলে, কে এ চাকরী করিতে আসে ? এমন দুৰ্য্যোগ-এমন রাত্রি ভাই, আর কখনও দেখিয়াছ ?” অপারে বলিল, “অল্পের সংস্থান থাকিলে স্ত্রী-পরিবার ছাড়িয়া, কে এই সহরে বিঘোরে মরিতে আসে-পেটের দায়ে সব করিতে হয়।” । "এই ত প্রায় একটা বাজে-একটা কাক-পক্ষী দেখিলাম না মানুষের কথা ত দূরে থাক।”