পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©डिख्ठ!-०tब्लिन । じア(r জন্যই যত গোল-পুলিস এই খুনের জন্য আপনার বিষয় আমাকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিবে ; আমি আপনার বিষয় কি জানিআপনি এখন যাইতেছেন না-কিন্তু তাহারা নিশ্চয়ই আপনাকে ডাকিয়া পাঠাইবে।” এ কথা শুনিয়া সুরেন্দ্রের মুখ একেবারে পাংশুবর্ণ হইয়া গেল ; তিনি কি বলিতে গেলেন, মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না। আগন্তুক ধীরে ধীরে বলিল, “এইজন্যই বলিতেছিলাম যে, আমার সঙ্গে আপনার যাওয়াই ভাল।” v ' সুহাসিনীর মা এই সকল দেখিয়া-শুনিয়া নিতান্ত ব্যাকুল হইয়া পড়িয়াছিলেন । তিনি ও বলিলেন, “যাও সুরেন্দ্র বাবু, তুমি নিজেই, গিয়া গোলমাল মিটাইয়া এস।” সুরেন্দ্রনাথ এবারও কথা কহিতে পারিলেন না। সুহাসিনীর স্থা বলিলেন, “এখনই গাড়ী ঠিক করিতে বলিতেছি।” আঈস্তুক বলিল, “আমি একখানা ভূড়ান্টীয়া গাড়ীতে আসিয়াছি, ইনি তাহাতেই যাইতে পারেন ; আপনাদের গাড়ী জুতিতে দেরি হইবে।” সুরেন্দ্ৰনাথ এবার কথা কহিলেন ; বলিলেন, “চল, আমি তোমার সঙ্গে যাইতেছি।” সুরেন্দ্ৰনাথ কাতরভাবে সতৃষ্ণ নয়নে সুহাসিনীর দিকে চাহিলেন। দেখিলেন, তাহার বিশালায়ত চোখ দুটি অশ্রীমাত হইয়া ছল ছল করিতেছে। দেখিয়া হৃদয়ে বড় বেদন পাইলেন। বুঝিলেন যে, সুহাসিনীও হৃদয়ে বড় ব্যথা পাইয়াছে। তিনি আর কোন কথা না কহিয়া আগন্তুকের সহিত নীরবে গিয়া গাড়ীতে উঠিলেন। তিনি নিজের মানসিক উত্তেজনায় এতই পীড়িত হইয়া পড়িয়াছিলেন যে, আগন্তুক কোচম্যানকে কোথায় যাইতে বলিল, তাহা তিনি শুনিতে পাইলেন না ।