পাতা:প্রতিবিম্ব - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ኑዩ l s যাখে, বন্ধু থাকবে না, অবসর থাকবে না, অনুগত ছেলেদের সেনাপতি হয়ে শোভাযাত্ৰা, ‘মিটিং, পূজা পার্বণের উৎসব করা যাবে না, রামবাবুর সঙ্গে যোগ দিয়ে চাষী মজুরদের জাগিয়ে তুলবাের কল্পনা কোনদিন কাৰ্য্যে পরিণত করা যায় না। রামবাবুর অনেক কাজ সে করে দিয়েছে। একমাত্র অন্যদলের সভায় গিয়ে হাঙ্গামা করে সভা ভাঙ্গার চেষ্টা ছাড়া আর সব কাজ। চাঁদা সে আদায় করে দেয় সব চেয়ে বেশী। রামবায়ুও লোক চেনেন, ছ্যাচড়ামির কাজ তাকে কখনো যোগান না । --রাজনীতির কতগুলি বিশ্ৰী কদৰ্য্য দিক আছে ভাই, সেগুলো না । মেনে নিলেও চলে না, আবার মানতেও মনটা বিদ্রোহ করে ওঠে। কিন্তু উপায় কি বলে । --তাই দেখছি। . . . - তবে উদ্দেশ্যই শেষ কথা, চরম বিচার। সে বিষয়ে তারকের যথেষ্ট সংশয় আছে। নির্ভেজাল ধর্ম সম্পর্কিত মুহৎ উদ্দেশ্যেণ্ড জগতে অনেক কিছু বীভৎস কাণ্ড ঘটে গেছে-জগতের মঙ্গলের জন্য তার কোনই দরকার ছিল না। তবে বলার তার কিছু নেই। রামবাবু সামনে ধরে দিয়েছেন বাস্তব। বাস্তবের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তার মনের এখনো আয়ত্ত হয় নি। রামবাবুর অনুরোধে সেবার সে ঘুরে ঘুরে অনেক চেষ্টায় সাতাশা চাষীকে সদরে এনে হাজির করেছিল। রামবাৰু রীতিমত বিত্ৰত ৰোধ করেছিলেন তাতে, চাষী মজুর নিপীড়িত জনগণের জন্য তার কাজ হল সহরে আন্দোলন, পঞ্চাশ যাটজনের আয়োজন করা সভায় একেবারে পাঁচশো চাৰী হাজির হলে বিপদ ঘটে বৈকি।--বিশেষত এই দুর্ভিক্ষের সময় ! তবে তিনি চালাক লোক, ম্যানেজ করেছিলেন। সেই থেকে রামবাবু তাকে রীতিমত শ্রদ্ধা করেন। দলে যোগ দিলে ভাল ট্রেনিং"