পাতা:প্রতিবিম্ব - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

srS effN তাত্মক মুখ বাকাতে শৈলেশ তাকে আলোচনার গোড়ার কথাটা বুঝিয়ে দিল। কংগ্রেসের নীতি সম্বন্ধে পাটির মনোভাব কনফারেন্সে স্থির করা হবে । এরা প্ৰস্তাব তৈরী করতে বসেছে। কনফারেন্সের ব্যবস্থা ? সে সব ঠিক করাই আছে। খুব কম রেটে একটি হল ভাড়া পাওয়া যায়, সেখানে কনফারেন্স বসে। কনফারেন্স এক রকম লেগেই আছে, স্থায়ী ব্যবস্থা ছাড়া কি চলে ? কনফারেন্ডস এক রকম লেগেই আছে । এমন হাস্যকর শোনায় কথাটা তারকের কাছে। সপ্তাহে সপ্তাহে দুৰ্গা পূজার সংবাদ যেন শৈলেশ তাকে দিয়েছে। তারপর এক সময় পুস্প তার বেণীকে খোপায় পরিণত ক’রে বই খাতা নিয়ে কলেজে যায়, নিশীথ করুণা সীতানাথের আরও অনেক বেলায় কথা কইতে কইতে তাকে একটা সম্ভাষণ পৰ্য্যন্ত না জানিয়ে কোথায় ডুব মারে, এক সে বসে থাকে নির্জন ঘরে। মনে মনে কুপিত হয়ে ভাবে, ভাত খেতেও কি তাকে কেউ ডাকবে না। কোথায় কার কাছে ভাত পাওয়া যাবে আবিষ্কার করে তাকে আবেদন জানাতে হবে নাকি ? ৪, উদ্ভট খাপছাড়া মানুষ এরা, এরা সবাই এক একটা কুন্মাণ্ড । কিছু হবে না। এদের দ্বারা । ফাকা বিনয় আর বাড়াবাড়ি ভদ্রতা বাদ দিতে গিয়ে এরা মানুষের সঙ্গে ফাক সৃষ্টি করেছে। নইলে তাকে এমন অবহেলা করে। রামবাবু হয়তো লিখেও দিয়েছেন, সে খুব কাজের লোক, তাকে দলে ঢোকাতে পারলে অনেক লাভ হবে। খচ ভাগ * সম্বন্ধে কারও এতটুকু মাথা ব্যথা নেই! ' দোতলার রেলিঙে আর উঠানের তারে কত ধুতি আর শাড়ী ঝুলছে, কে জানে তার কথা ভুলে খেয়ে দেখে সকলে বিশ্রামু কািৰ ।