পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ প্রফুল্প জগ। আমি দিদি, এ টাকার কথা ধরি নি ; কিন্তু কওঁ, সে পুরুষমানুষ বড় টাকার মায়া ; আমায় ধমক ধমক ক’রে ব’লে, “টাকা কি করেছিস ?” আমি ভয়ে ব’লে ফেল্লেম, “সুরেশকে দিয়েছি।” এই সুরেশের ঠেয়ে হাওনোট লিখে নিয়েছে । আমি দিদি, এদিন টেলে রেখেছিলুম, আর তো টালতে পারিনি। সে বলে, “নালিস ক’বে।” বলে, “কেন ? ওর ভায়েরা রয়েছে, টাকা দেবে না কেন ?” কি ক’ত্ববো দিদি, বড় দায়ে পড়ে এসেছি । অন্তরালে জ্ঞানদা। এত কথা কি হ’চ্ছে ? অন্তরালে প্রফুল্ল । মাগী মস্তর প’ড়ছে, ঐ দেখ না চোখ দুটো যেন কেটির থেকে বেরিয়ে আসছে ! উমা । দেখ বোন, তুমি আর দিন-কতক রাখ, আমি সুরেশের দেন। এক কড়া রাখবো না, যেমন ক’রে পারি, শোধ দেব । আমি বড় বিপদে পড়েছি,গোবিন্‌জীর ইচ্ছায় শুনছি,একটু হিল্লে লাগছে ; একটা কিছু স্থবিধা হ’লেই স্বদ শুদ্ধ চুকিয়ে দেব, ওর ভায়ের না দেয়, আমি যাদের ধার দিয়েছি, আদায় হ’লেই তোমায় ডেকে চুকিয়ে দেব। জগ। কর্তা তো আর রাখতে চায় না ; সে বলে, “কেন, ওর মেজ-ভাই চুকিয়ে দিক না, ও একটা সই ক’লেই চুকে যায়।” উমা । কিসের সই ? আবার সই কিসের । জগ। কে জানে বোন, রমেশবাবু নাকি বলেছে। উমা। না বোন, আর সই ট’য়ে কাজ নাই, আমি সবই চুকিয়ে দেব ; বেটা তো নয়, আমার পেটের কণ্টক ! কি একটা সই ক’রে নিয়ে আমার ষোগেশকে উন্মাদ ক’রেছে । সুরেশ ফিরে আমুক, কত টাকা শুনি, হিসেব ক’রে সব চুকিয়ে দেব। জগ। দিদি, সে কথাও বলতে এসেছি, আমন ডবকা ছেলে, এখনও দশ দিন রয়েছে।