পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক ఈ ఏ

শিব। সে কথা আর তোমায় কি ব’ল্বে! রমেশ বাৰু কতকগুলো মাতাল ঠেকিয়ে দিয়েছেন, তাদের সঙ্গে মদ খাচ্ছেন, আর পথে পথে বেড়াচ্ছেন। আমি এত আল্বার চেষ্টা করেছি, কিছুতেই বাগ ফেরাতে পারি নি ।

স্বরেশ। আমাদের সোণার সংসার ছাথায় হ’ল। কি কুক্ষণেই মেজদাদা জন্মেছিলেন । দাদার এ দশা হবে, আমি স্বপ্নেও জানি নি। কখনও একটা মিথ্যা কথা বলেন নি, কখনও পরস্ত্রীর মুখ দেখেন নি। ভাই রে, যদি ব্যামোতে আমার মৃত্যু হ’ত, সেও ভাল ছিল ; আমি বেঁচে উঠে দাদার এই দশা দেখতে হ’লো! শিব। স্বরেশ, কেন আক্ষেপ কল্পছ, তুমি সব ফের পাবে ; তুমি একটু ভাল ক’রে সেরে ওঠে, আমি টাকা থরচ ক’রে মকৰ্দমা ক’ত্ববো । তোমার মেজদা’র জোচ্চ রি আমি বার করে দিচ্ছি। মা বলেছেন, বাড়ী বেচ তে হয়, সেও কবুল, তবু যাতে তোমার মেজদাদা জন্ম হয়, তা করবেন। সুরেশ । হ্যা হে, পীতাম্বরের কোন খবর পেয়েছ ? শিব। সে চিঠি লিখেছে, শীগগির আসবে, বড্ড কাহিল আছে, একটু সালেই আসবে ; অমন লোক হবে না । তোমার দাদা মাথায় ইট মেরেছিল, জরে কঁপিছে, আমি এত বারণ ক’লেম, তবু তোমার থালাসের দিন আমার সঙ্গে গেল। আহা বেচার রাস্তায় ভিন্নুমি গেল, আমি এক বিপদে পড়লেম ; এ দিকে তোমায় নিয়ে সাম্লাব, না তাকে নিয়ে সাম্লাব । স্বরেশ। আমার সে সব কিছুই মনে নাই। শিব। তুমি তিন মাস অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছ, কি ক’রে জানবে। স্বরেশ। দেখ, তিন মাস যে কোথা দে কেটেছে—তাই, আমার কিছুই মনে নাই। আমার স্বপ্লের দ্যায় মনে হয়, কে আমায় জেল থেকে