পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক ১২৩ খবরদার যেয়ো না ; সেই ডাইনী মাগী অার এক মিলে ডা’ন, “যেদে যেদে” বলে কি ফুসফুস করে, আমার বুক গুকিয়ে যায় ; খবরদার দিদি, তোমাদের নিতে এলে যেয়ে না ! জ্ঞানদা। বোন, তোমার কাছে আমার একটি মিনতি আছে, তুমি একদিন যাদবকে পেট ভরে থাইয়ে পাঠিয়ে দিও, তারপর আমি গলা টিপে মেরে ফেলবো। একদিন যদি পেট ভরে খাওয়াতে পারি, আমি ওকে মেরে ফেলে জলে গিয়ে ডুবি । আজ তিনদিন এক বেলাও পেট ভরে খেতে দিতে পারি নি ; রাত্রে একটু ফ্যান খাইয়ে শুইয়ে রাখি। বোন, আমার আর কিছু ক্ষোভ নাই। আমি মহাপাতকী, কার বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছিলেম, তাই এ দশ হয়েছে ; কিন্তু দুধের ছেলে ক্ষিদেয় ছট্‌ফট্‌ করে, এ যাতনা আর দেথভে পারি নি, আজ আমাকে বা’র ক’রে দিয়েছে, ভাড়া দিতে পারি নি, রাখবে কেন ? মনে ক’রেছিলেম, ভিক্ষে ক'রে দুটি খাইয়ে জলে গিয়ে উলবো ; আমি বেরিয়ে যাচ্ছি, আর তুমি এলে । প্রফুল্প। দিদি, তুমি কেঁদে না, জামায় এ গয়নাগুলি নাও, এ বেচে কিনে চালাও । আমি তোমার সঙ্গে থাকৃতেম, মাকে দেখবার কেউ নাই না থাইয়ে দিলে খায় না, কি কবে, আমায় ফিরে যেতে হবে। তুমি এগুলি নাও, আমি আবার এসে যেখান থেকে পাই, টাকা দিয়ে যাব। জ্ঞানদা। বোন, তোমার গয়না নিয়ে আমি কি কবে ? এ তে থাকুৰে না, আমার স্বামী আমার শক্র । সেদিন বাড়ীবেচা তিনশো টাকা বাক্স ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে গেল ; আজ বাসন বাধা দিয়ে ঘরভাড়ার টাকা এনেছিলেম, লাখি মেরে ফেলে দিয়ে কেড়ে নিয়ে গেল । প্রফুল্প। দিদি, তুমি কি আমায় পর ভাবছো ? আমি তোমার পর নই,