পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অঙ্ক $83) ভাই পথে পথে ভিক্ষে ক’চ্ছেন, আমার রাজলক্ষ্মী বড়ভাজ, অনাহারে পথে প’ড়ে মরেছেন, আজ অনাথার মত পোড়ালেম,~—আমার প্রফুল্লকমল মেজ বেী দিন দিন মলিন হ’চ্ছেন, আজ আমার ব্রজের গোপাল হারিয়েছে। আমি আপনি জেল খেটেছি, তাতে দুঃখিত ब३, আমার যেদের মুখ মনে পড়ছে, আর আমি প্রাণ ধ’ত্তে পাছি নি । ভজ। মুখ মনে ক’ত্তে গেলে অনেকের অনেক মুখ মনে পড়ে। আমার ইন্দ্র, চন্দ্র, বায়ু, বরুণ নয়,—এক গৃহস্থ বাপ ছিল, হাস্তমুখী মা ছিল; গ্যাটাগোটা সব ভাই ছিল, বোনটা আমি না থাইয়ে দিলে খেত না ; তার পর শোন, একদিন খেলিয়ে এসে বাড়ীতে দেখি, সব বাড়ীগুদ্ধ কাছে। কি সমাচার –না জমীনারে আমার বাপকে খুব মেরেছে, রক্ত বুঝিয়ে পড়ছে, প্ৰাণ ধুকধুক ক’চ্ছে। সেই রাত্রিতেই তো তিনি মরুন; তারপর জমীদার বাহান্থর ঘরে আগুন ধরিয়ে দিলেন, ছেলেপুলে নিয়ে মা ঠাকুরুণ বেরুলেন ; দেশে আকাল, ভিক্ষে পাওয়া যায় না, যা দুটি পান, আমাদের খাওয়ান, আপনি উপোস যান, এক দিন তো গাছতলায় পড়ে মরন-- সুরেশ । আহা হা । ভঙ্গ। রসো, আহা হা, ক’রো না, ঝড়ে যেমন র্যাব পড়ে, ভাইগুলো সব একে একে পড়লো আর ম’লে ; বোনটাকে এক মাগী ছিনিয়ে নিয়ে গেল, কাদ্বতে লাগলো, আমিও কাতে লাগলেম । তারপর छांद्र সন্ধান নেই! কেমন, মুখ মনে পড়বার আছে ? সুরেশ । আহা ভাই, তুমিও বড় দুঃখী ! . ভজ। তারপর মামা বাবুর কাছে গিয়ে পড়লেম । গরুর জাব দেওয়া, বাসন মাজা, উকুন ধরান, ভাত রাধা ; মামা বাবুর বেত আর মামী ঠাকুক্ষণের ঠোনার সঙ্গে ফ্যানে ফ্যানে ভাত ; জেলট আসটাও ঘুরে জাসা গিয়েছে।