পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক २१ যোগেশ । না, যা হবার হয়ে গিয়েছে, এখন উপায় কি ? কারবার ক্লোজ করেছি, ব্যাপারীর দেনা প্রায় দেড় লাখ টাকা। বিষয় বেচে তো না, দিলে নয় ; আমি ব্যাপারীদের ঠেয়ে সময় নিয়ে দালাল ধরিয়ে দিই’। রমেশ । মা একটা কথা বলছিলেন—বলেন, এখন বেচলে কি দাম হবে ? আধা দরে যাবে। তিনি বলছিলেন, বেয়ের নামে কল্পে হয় না ? তার পর ক্রমে ক্রমে বেচা যাবে } যোগেশ। ছিঃ ! তিনি যেন মেয়েমানুষ বলেছেন, তুমি ও কথা মুখে আন ? লোকের কাছে জোচ্চোর হব ? সুনাম থাকুলে খেটে খাওয়া চলবে। আর চলুক আর নাই চলুক, আমায় বিশ্বাস ক’রে মাল ছেড়ে দিয়েছে—বিশ্বাসঘাতক হব ? - রমেশ । তা তো বটেই, তা তো বটেই, তবে একটা কথা, দরে না বিকুলে তো সব জেনা শোধ যাবে না । যোগেশ। আমি সকলকে ডেকে বলি যে, আমার এই আওহাল, তোমরা সব আপনার রয়ে বসে বেচে কিনে নাও। না রাজী হয়, জেল খেটে শোধ দেব। এখন আর আমার বিষয় না,পাওনাদারের ; তাদের যেমন ইচ্ছে, তাই হবে। আমার সর্বনাশ হয়েছে বটে, কিন্তু বড় গল ক’রে ব’লতে পারি, কখনো প্রবঞ্চনার দিক দিয়ে চলি নি । যার প্রবঞ্চক, তারা কথন’ ব্যবসাদার হ’তে পারে না। বিশ্বাস ব্যবসার মুল, দেখছ না, আমাদের জাতে পরস্পর বিশ্বাস নাই, ব্যবসাতেও প্রায় কেউ উন্নতি লাভ ক’ত্তে পারে না ; লোকের বিশ্বাসভাজন হয়েছিলুম, তাইতে যা মনে করেছি, তাই করেছি ; সে । বিশ্বাস কখন ভাঙবে না, এতে জেলে যাই, স্ত্রী রাধুনী হয়, ছেলে । • অনাহারে মুরে, সেও ভাল । রমেশ । আমিও তো তাই বলি, তবে মা বলছেন, এই জঙ্গই শোনালুম। যোগেশ। মা বলুন, যিনি অধৰ্ম্মে মতি দেবেন, তিনি মাই হ’ন আর .