পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঙ্ক ৩৭ বুঝতে পাচ্ছে না, দাদা টাকার শোকে মদ খাচ্ছেন। আমি বিষয় বঁচোচ্ছি সাধে ? আজ দেখাচে এই,—যে দিন বাড়ী বেচে তাড়াটে বাড়ীতে যাবেন, সেই দিন গলায় দড়ি দেবেন। মাতাল বলে—মদ ছাড়লেই গেল, জোচ্চোর বলে—দেন দিলেই ফুরলো ; সব ফিরে পাওয়া যায়, প্রাণ গেলে তো আর প্রাণ ফিবে না ! পীতাম্বর, তা তোমার কি বল,—তোমার ত মা’র পেটের তাই নয়, তোমার এক চাকুরী গেলে, আর এক চাকুরী হবে । তুমি ধৰ্ম্মতঃ বল দেখি, দাদাকে অমন বেহেড, কখন দেখেছ কি ? এ টাকার শোকে না কি ? পীতা । আপনি মাতাল ব’লে পরিচয়টা দিলেন কেন ? রমেশ। মনের দুঃখে বেরিয়ে গেল পীতাম্বর! আমাতে কি আর আমি আছি ? আমি মৰ্ম্মে ম’রে গেছি! তোমায় বলছি, কথা শুন,— দাদা জিজ্ঞাসা করলে বলবো, সৰাই কিস্তিবন্দীতে য়াঙ্গী হয়ে গিয়েছে। তুমি ব’ল, হ্যা। পীতা । আজ যেন বল্লম, তারপর ? রমেশ । আজ বিকেলে সব বেটাকে রাজী ক’য়বে—কেন ভাব ছ! পীতা । যা ভাল হয় করুন, দেড় লাখ টাকা পাওন, পাচ হাজার টাকা দিতে চাচ্চেন, আমায় তো বোধ হয় হবে না। রমেশ । পীতাম্বর, তোমার কাছে এই ভিক্ষ, আমি যা বলি, গুনে— দাদার প্রাণটা রক্ষা কর, দাদাকে বাচাতে পায়ূলে সব বজায় থাকৃবে। পীতা। তা সত্য, টাকায় শোকেই এ চলাচলিটা হ’ল। তা মেজ বাবু, না ব’ল্লেই হ’ত, মাতাল জেনে গেল, কথাটা ভাল হ’ল না । রমেশ । তুমি একটা উপকার কর, ঐ মদন পাগলার কথা মা শোনেন ; ওকে দিয়ে মাকে বলাও, ষেন দাদাকে বলেন, রেজেষ্টারি কয়ে দিতে । একবার রেজেক্টরিটে ক’ত্তে পারলে বুঝতে পারি, ব্যাপারব্যাটার রাজী হয় কি না।