পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অঙ্ক জ্ঞানদার প্রবেশ জ্ঞানদা। পীতাম্বর, কাছে কেন ? পীতা। বড়মা গো, বুড়ীর কথা শুনলে পাষাণ ফেটে যায় ? মাগীকে ধ’মৃকে ধামৃকে তাড়িয়ে দিলুম। খায় দায় তো ? ও যে বাচে, এমন বোধ হয় না ! এ দশটা দিন কি ক’রে কাটাই ? জ্ঞানদা। বাছ, আমি যে কি ক’রবে, কিছু ভেবে পাইনি ; একবার ভাতে গতে করেন, রাত্রে তো দুটা চক্ষের পাতা এক করেন না,কথন বুক ধড়ফড় করে, কখন নিশ্বাস পড়ে না, বুকে তেলে-জলে দিই,পুরাণ বি মালিস করি। একটু নিথর হয়ে থাকলে আমি মনে করি ঘুমুলেন, তা নয়, সেটা আমায় ভুলোনো যে ঘুমুচ্ছেন ; আবার ঘরের দোরে এসে দেখি যে নিঃশ্বাস ফেলছেন—কাছেন । পীতা । তাই তো বড়ম, কি হবে ? দশটা দিন কি ক’য়ে কাট্‌বে ? আমি ত বাপু বড় বড় কেন্স লিকে কাগজ পত্র লেখালেম, আপীল হবে না। ’ জ্ঞানদা। স্থা বাবা, পাথরভাঙ্গা মোকুব করতে পালে না ? পীতা । কই আর পারলেম ? চার হাজার টাকা নিয়ে চেষ্টা-বেষ্ট কয়লুম, কিছুই তে ক’ত্তে পারলেম না! দুঃখের কথা কি ব’ল্বো, জমাদারের ঠেয়ে গুলেম, কে উকীল এসে জেলারকে ভয় দেখিয়ে গিয়েছে, যাতে খাটুনি মোকুব না হয় । সে উকীল আর কেউ নয়, আমার বোধ হয় মেজবাবু। জ্ঞানদ । সে কি ! সে কি চগুলি ? তুমি আরও টাকা কবলাও, সে ডবুক ছেলে, পাথর ভাঙ্গলে বাঁচবে না। পীতা । চণ্ডালের অধম । আর তো টাকা হাতে নেই মা ! মাগে, তুমি গয়না খুলে দিলে, আমার বুক ফেটে গেল! সেইগুলি বাধা দিয়ে তাড়াতাড়ি চার হাজার টাকা নিয়ে গেলুম। মা, মহাজনে আর টাকা দিতে চায় না, কে নাকি ব’লেছে যে ঝুটো গয়না ।