পাতা:প্রফুল্ল-গিরিশচন্দ্র ঘোষ.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

切-b〜 প্রফুল্ল জ্ঞানদা। আমার আরও গয়না আছে, তোমায় দিচ্চি, যেদোর ভাতের গযন আছে, সেগুলো ও মাও । পীতা । দেখি, বোধ হয় তা নিতে হবে না ; একটা খবর পাচ্ছি— জ্ঞানদা। কি খবর বাবা ? পীতা । সেটা এখন পাচকগণ করবেন না, বোধ হয়, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ফিরে পাওয়া যাবে। স্থান। পাওয়া যায় ভালই, কিন্তু তুমি আর দেরী করে না, যাতে পাথরভাঙ্গ মোকুব হয়, আগে কর ; আমি গয়ন পাঠিয়ে দিচ্ছি। বাবা, তোমায় বলবো কি, তুমি পেটের, ছেলের চেয়ে বেশী, কিন্তু তোমার সামৃনে আমি একদিনও বেরুই নি, আজ আমার ইচ্ছে ক’ছে, জেলারোগার পায়ে গিয়ে ধরি। বাবা, আমার ওঁর চেয়ে স্কুরেশের জাল বড় হয়েছে । পীতা । তবে তাই পাঠিয়ে দেবেন, আমি চট করে খেয়ে নিই। পীতাম্বরের প্রস্থান প্রফুল্লুর প্রবেশ জ্ঞানদা। মেজবোঁ, কি ক’রে এলি ? পালিয়ে আসিস নি তো ? প্রফুল্ল । না দিদি, আমায় পাঠিয়েছে ; ব’লেছে, ঠাকুরপোকে ছাড়িয়ে আনবে। একবার মা নাকি গেলেই ছেড়ে দেয়। জ্ঞানদা। মা যাবে কি লো ? প্রফুল্প। ছ্যা দিদি, ঠাকুরপে একথান কাগজে সই ক’লেই হয় ; ওর উপর নাকি রেগে আছে, যদি ওর কথায় না সই করে, মা সই ক’ত্ত্বে ব’ল্পই সই ক’বে, তা হ’লেই ঠাকুরপো আসবে। দিদি গো, তোমরা চলে এলে গে, আমার ঠাকুরপোর জন্তে মন কেমন ক’ছে গো ! ছাই খেয়ে কেন মাকড়ী দিয়েছিলেম গো !