পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এবং পরাধীনতা। ১১৩ পক্ষান্তরে কখন স্বতন্ত্র রাজ্যকেও পরাধীন বলা যাইতে পারে, যথা নৰ্ম্মানদিগের সময়ে ইংলণ্ড, ও ঔরঞ্জেবের সময়ে ভঞ্জতবর্ষ। আমরা কুতবউদিনের অধীন উত্তর ভারতবর্ষকে পরতন্ত্র ও পরাধীন বলি, আকৃবরের শাসিত ভারতবর্ষকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বলি । সে যাহাই হউক, প্রাচীন ভারত স্বতন্ত্র ও স্বাধীন ; আধুনিক ভারতবর্ষ পরতন্ত্র ও পরাধীন। প্রথমে স্বাতন্ত্র্য ও পারতন্ত্র্য জন্য যে বৈষম্য ঘটতেছে, তাহার আলোচনা করা যাউক —পশ্চাৎ স্বাধীনতা ও পরাধীনতার কথা বিবেচনা করা যাইবে। রাজা অন্য দেশবাসী হইলে দুইটী অনিষ্টপাতের সন্তাবন, প্রথম, রাজা দূরে থাকিলে স্বশাসনের বিঘ্ন হয়। দ্বিতীয়, রাজা যে দেশে অধিষ্ঠান করেন সেই দেশের প্রতি তাহার অধিক আদর হয়, তাহার মঙ্গলার্থ দুরন্থ রাজ্যের অমঙ্গলও করিয়া থাকেন। এই দুইটা দোষ যে আধুনিক ভারতবর্ষে ঘটিতেছে না, এমত নহে। মহারাণী বিক্টোরিয়ার সিংহাসন দিল্লী বা কলিকাতায় স্থাপিত হইলে, ভারতবর্ষের শাসনপ্রণালী উৎকৃষ্টতর হইত তাহার সন্দেহ নাই, কেন না যাহা রাজার নিকটবর্তী তাছার প্রতি রাজপুরুষদিগের অধিক মনোযোগ হয়। দ্বিতীয় দোযটী ও ঘটতেছে। ইংলণ্ডের গৌরবার্থ আবিসিনায় যুদ্ধ হইল, ব্যয়ের দায়ী ভারতবর্ষ। "হোমচার্জেস” বলিয়া যে বায়ু বজেটভুক্ত হয়, তাহার মধ্যে অনেক গুলিই এইরূপ ইংলণ্ডের মঙ্গলের জন্য ভারতবর্ষের ক্ষতি স্বীকার । এইরূপ অনেক আছে । রাজ{ দুৱস্থিত বলিয়৷ আধুনক ভারতবর্ষের স্বশাসনের বিঘ্ন ঘটে বটে, কিন্তু তেমন, রাজা স্বেচ্ছাচারী বলিয়া মুশাসনের যে সকল বিঘ্ন ঘটিবার সম্ভাবনা, তাহ ঘটে না। কোন রাজা,