পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38b- তিন রকম । ৰিনির্মর করি। গালিগালাজ দিবার আগে, একবার কত মুখ হঃখ বুঝিয়া লউন । আমরা মরিলে আপনার, একাদশী করিবেন, নিরামিষ খাইবেন, ঠোঁট পরিৰেন, আপনার স্বর্গরোহণ করিলে, আমরা “দ্বিতীয় সংসার” করিব—জীরস্তে আপনারা সস্তান প্রসব করিবেন, রন্ধাখালার তত্ত্বাবধারণ করিবেন, —বাড়ীতে বিবাহ উপস্থিত হইলে, গোপের উপর ঘোমটা টানিয়া বরণডালা মাথায় করিয়া, স্ত্রী আচার করিবেন, বাসর ঘরে রসের হাসি হাসিয়া বাসর জাগিবেন সুখের সীমা থাকিবে ন। —আমরা যৌবনে বহি হাতে করিয়া কলেজে যাইব— বয়সকালে, ফিরিঙ্গী খোপার উপর, পাগড়ী তেড়া করিয়া বধিয়া আপিসে যাইব-টেনেহলে নখ নাড়িয়া স্পীচ করিব;– চলমার ভিতর হইতে এই চোখের বিলোল কটাক্ষে স্বষ্টি স্থিতি প্রলয় করিব-সাধের ধৰ্ম্মের দড়ি গলায় বাধিয়া সংসার গোহালে খোল বিচালি খাইব ।—ক্ষতি কি ! তোমরা বিনিময় করিবে ? কিন্তু একটা কথা সাবধান করিয়া দিই—তোমরা যখন মানে বসিবে—আমরা যখন মান ভাঙ্গিতে বসিব--মুখথনি কঁাদে৷ কাদো করিয়া, কর্ণভূষ একটু ঈষৎ রসের দোলনে দোলাইয়া,এই সভ্রময় সরোজনয়নে একবার চোরা চাহনি চাহিয়া, যখন গহনা পর হাতখানি, তোমাদের পারে দিব—তখন ? তখন কি তোমরা, আমাদেয় মত মানের মান রাখিতে পরিবে ? বড়াই ছাড়িয়া, তাই কর ; তোমরা অন্তঃপুরে এস– আমরা আপিসে যাই। যাহারা সাতশত বৎসর পরের জুতা মাথার বহিতেছে তাহারা আবার পুরুষ! বলিতে লজ্জা করে না। শ্রীরসমূয়ী দাসী ।