পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৮ হিন্দুধৰ্ম্মের নৈসর্গিক মূল। সৃষ্টি ইলেই তাহার অভিপ্রায়ের সফলত হইল-রক্ষা না হইলেও সে অতিপ্রারের নিষ্ফলতা নাই । অতএব, স্রষ্ট, পাতা, এবং হর্তা, পৃথক পৃথক্ চৈতন্য এমত বিবেচনা করা, অসঙ্গভ এবং প্রমাণবিরুদ্ধ নহে— ইহাই হিন্দুধর্শ্বের নৈসর্গিক ভিত্তি, এবং এই স্রষ্ট পাতা ও হর্ত ব্ৰহ্ম বিষ্ণু মহেশ্বর বলিয়া পরিচিত । কিন্তু এতৎসম্বন্ধে আমাদের কয়েকটি কথা বলিবার আছে। প্রথম, আমরা বলিতেছি না যে এই ত্রিদেবের উপাসনা এই রূপে ভারভবর্ষে উৎপন্ন হইয়াছে । আমরা এমত বিশ্বাস করি না যে ভারতীয় ধৰ্ম্মস্থাপকগণ এই রূপ বৈজ্ঞানিক বিচার করিয়া ত্রিদেবের কল্পনায় উপস্থিত হইয়াছিলেন । ইহাদিগের উৎপত্তি বেদগীভ বিষ্ণু রুদ্রাদি হইতে। বৈদিক বিষ্ণু রুদ্রাদি বৈজ্ঞানিক সঙ্কল্প নহে, ইহার যথেষ্ট প্রমাণ বেদেই আছে। কিন্তু পাতৃত্ব হস্তৃত্ব গ্ৰন্থত্বের স্বচনাও বেদে আছে। তবে, অদ্বিতীয় দর্শনশাস্ত্ৰবিং ভারতীয় পণ্ডিতগণ কর্তৃক এই ত্রিদেবোপাসনা গৃহীত হষ্টয়াছিল, জনসাধারণে উহা বদ্ধমূল, ইহাতে অবশ্য এমত বিবেচনা কর। কর্তব্য যে উহার সুদৃঢ় নৈসর্গিক ভিত্তি আছে। লোকবিশ্বাসের সেই গৃঢ় নৈসর্গিক ভিত্তি कि उाशहे स्रागइ cमथाईलाभं । আমাদিগের দ্বিতীয় বক্তব্য এই যে, এই ত্রিদেবোপাসনার নৈসর্গিক ভিত্তি আছে বটে, কিন্তু আমরা এমভ কিছু লিখি নাই এই বিচারেও এমন্ত কোন কথাই পাওয়া যায় না, যে তদ্ধার এই ত্রিজেবের অস্তিত্ব বিজ্ঞানের দ্বারা প্রমাণীকৃত বলিয় স্বীকার কর ক্ষয় প্রমাণে দুষ্টটি গুরুতর ছিদ্র লক্ষিত হয়। প্রথম এই, যে জগতের নিৰ্ম্মণকৌশলে চৈতন্যযুক্ত নিৰ্ম্মীতার অস্তিত্ব প্রমাণ হইতেছে এই কথা স্বীকার করাতেই ত্রিদে