পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯০. হিন্দুধর্মের নৈসর্গিক মূল। ইহা যথার্থ, কিন্তু ইছ স্বীকার করিতে হইবে যে মহাবিজ্ঞানকুশলী ইউরোপীয় জাতির অবনতি খ্ৰীষ্ট ধর্শ্বাপেক্ষ, হিন্দুদিগের এই ত্রিদেবোপাসনা বিজ্ঞানসঙ্গত এৰং নৈসর্গিক । ত্রিদেবোপাসনা বিজ্ঞানমূলক না হউক, বিজ্ঞানবিরুদ্ধ নহে । কিন্তু একজন সৰ্ব্বশক্তিমান, সৰ্ব্বজ্ঞ, এবং দয়াময় ঈশ্বরে বিশ্বাস য়ে, বিজ্ঞানবিরুদ্ধ, তাহা উপরিকথিত মিলকৃত বিচারে সপ্রমাণ रुद्देब्बाप्छ । পঞ্চম। র্যাহার হিন্দুধৰ্ম্মের পুনঃসংস্কারে নিযুক্ত, তাহাদি. গকে আমরা জিজ্ঞাসা করি, যে একেশ্বরবাদের পুনরুজ্জীবন অপেক্ষ, ব্রিদেবোপাসনার পুবরুজ্জীবন অধিক সহজ, বিজ্ঞানসঙ্গত, এবং লোকামুমত হয় কি না ? যষ্ঠ। এই প্রবন্ধে অনেক স্থানে এমত কথা আছে যে তদ্ধারা অনেকে বুঝিতে পারেন, যে ঈশ্বর বৈজ্ঞানিক প্রমাণের দ্বারা সিদ্ধ নহে। বস্তুতঃ এ কথা ঠিক নহে। সৰ্ব্বশক্তিমান, সৰ্ব্বজ্ঞ, দয়াময় এবং প্রবৃত্তিশালী ঈশ্বরই বিজ্ঞানের দ্বারা অসিদ্ধ, ইহাই আমরা বলিয়াছি । জগতের নিৰ্ম্মাতা বিজ্ঞানের দ্বারা সিদ্ধ নহেন। কিন্তু বিজ্ঞানে ইহা পদে পদে প্রমাণীকৃত হইতেছে যে এই জগৎ ব্যাপিয়া, সৰ্ব্বত্র সন্ধকার্য্যে, এক অনন্ত, অচিন্তনীয়, অজ্ঞেয় শক্তি আছে—ইহা সকলেয় কারণ, বহির্জগতের অস্তুরায়ু স্বরূপ। সেই মহাবলের অস্তিত্ব অস্বীকার করা দূরে থাকুক, আমরা তত্ত্বদেশে ভক্তিভাযে কোটি কোটি কোটি প্রণাম করি। ళొtః#3ē