পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राभ6भाइन 2ा SS ইংরেজের হাতে পড়ে আমাদের জীবনের ও মনের যে আমল পরিবতন ঘটবে ভারত-সভ্যতা যে নবকলেবর ধারণ করবে, এ সত্য সবাক্সে রাজা রামমোহন রায়ের চোখেই ধরা পড়ে। সে যাগে তিনি ছিলেন একমাত্র লোক, যাঁর অন্তরে ভারতেব ভবিষ্যৎ সাকার হয়ে উঠেছিল। তাঁর সমসাময়িক অপরাপর বাংলা লেখকের লেখা পড়লে দেখা যায় যে, এক রামমোহন রায় ব্যতীত অপর কোনো বাঙালির এ চৈতন্য হয় নি যে, নবাবের রাজ্য কোম্পানির হাতে পড়ায় শািন্ধ রাজার বদল হল না, সেই-- সঙ্গে জাতীয় জীবনের মহা পরিবর্তনের সন্ত্রপাত হল। ইংরেজের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এমন সব নবশক্তি এসে পড়ল। যার সমবায়ে ও সংঘর্ষে ভারতবর্ষে একটি নতন সমাজ ও নন্তন সভ্যতা গঠিত হল। এবং সে-সকল শান্তি যে কি এবং তার ভিতর কোন কোন শক্তি আমাদের জাতিগঠনের সহায় হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি সপণ সজ্ঞান ছিলেন। তাঁর দন্টিকে দিব্যদন্টি ছাড়া আর কিছ বলা চলে না, কেননা দেড়শো বৎসর ইংরেজের রাজ্যে বাস করে এবং প্রায় একশো বৎসর ইংরেজি শিক্ষা লাভ করেও আমাদের মধ্যে আজ খািব কম লোক আছেন, শাসনতন্ত্র সম্পবন্ধে শিক্ষা সম্পবন্ধে সমাজ সম্পবন্ধে যাঁদের ধারণা রাজা রামমোহন রায়ের তুল্য পণ্ট। সম্যক জ্ঞানের অন্তরে কোনো দ্বিধা নেই, কোনো ইতস্তত নেই। সে জ্ঞান কিন্তু শািন্ধ সকুলকলেজে বই পড়ে লাভ করা যায় না, ভগবদত্ত প্রতিভা ব্যতীত কেউ আর যথাৰ্থ জ্ঞানের অধিকারী হতে পারেন না। আপনারা মনে রাখবেন যে, রাজা রামমোহন ইংরেজের স্কুলকলেজে কখনো পড়েন নি, এবং ইংরেজি শিক্ষার সম্পােবল নিয়ে মনের দেশে যাত্রা শার করেন নি। সংস্কৃত আরবি ও ফারসি, এই তিন ভাষায় ও শাস্ত্রে শিক্ষিত মন নিয়েই তিনি ইংরেজি সভ্যতার দোষগণ বিচার করতে বসেন এবং তার কোনো অংশ তিনি প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার কোনো কোনো শক্তিকে সঞ্জীবনী শান্তি হিসেবে অঙ্গীকার করেন। জনরব এই যে, রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্মধমের প্রবতন করে দেশের লোককে খসেন্টধমের আক্ৰমণ হতে রক্ষা করেছেন ; সে আক্রমণের বিরুদ্ধে তিনি যে লেখনী ধারণ করেছিলেন সে বিষয়ে কোনোই সন্দেহ নাই। আমি নিম্পেন্ন তাঁর একটি লেখা থেকে কতক অংশ উদধত করে দিচ্ছি, তার থেকে আপনারা রামমোহন রায়ের মনের ও সেইসঙ্গে তাঁর বাংলা রচনার কিঞ্চিৎ পরিচয় পাবেন শতাহ্মধর্ণ বৎসর হইতে অধিককাল এদেশে ইংরেজের অধিকার হইয়াছে তাহাতে প্রথম ত্ৰিশ বৎসরে তাঁহাদের বাক্যের ও ব্যবহারের হুবারা ইহা সৰস্বত্র বিখ্যাত ছিল যে তাঁহাদের নিয়ম এই যে কাহারো ধমের সহিত বিপক্ষতাচরণ করেন না ও আপনার আপনার ধৰ্ম্মম সকলে করােক ইহাই তাঁহাদের যথাৰ্থ বাসনা পরে পরে অধিকারের ও বলের আধিক্য পরমেশবর ক্রমে জমে করিতেছেন। কিন্তু ইদানীন্তন বিশ বৎসর হইল কতক ব্যক্তি ইংরেজ যাঁহারা মিসনরি নামে বিখ্যাত হিন্দ ও মোছলমানকে ব্যন্তরাপে তাঁহাদের ধৰ্ম্ম হইতে প্রচুত্যুত করিয়া খিস্টান করিবার যত্ন নানা প্রকারে করিতেছেন। প্রথম প্রকার এই যে নানাবিধ ক্ষদ্র ও বহৎ পােস্তকসকল রচনা ও ছাপা করিয়া যথেষ্ট প্রদান করেন যাহা হিন্দর ও মোছলমানের