পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yy8 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ সে চেণ্টা আমাদের করা আবশ্যক। তার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিচারের হটগোলে যোগ দেওয়া। হেয়ালি সম্পবন্ধে বাংলায় একটা কথা আছে যে মখেতে বঝিতে পারে, পন্ডিতের লাগে। ধন্ধ। এই প্রবচনের উপর ভরসা রেখে এ হেয়ালির উত্তর দিতে চেন্টা করছি। Wy বলা বাহাল্য যে, কাব্য আর এনসাইক্লোপিডিয়া এক ব্যুতের দটি ফল নয়। কাব্য মানষের অন্তর হতে আবিভূতি হয়, আর এনসাইক্লোপিডিয়া বাহির থেকে সংগহীত। সতরাং এ উভয়েই যে এক সন্থানে ও এক ক্ষণে জলমলাভ করেছে, এ কথা অবিশ্ববাস্য। সতরাং আমাদের ধরে নিতেই হবে যে, এ দই পথক বস্তু; গোড়ায় পথিক ছিল, পরে কালবশে জড়িয়ে গিয়েছে। তার পর প্রশন ওঠে এই যে, কাব্যের সীকন্ধে এনসাইক্লোপিডিয়া ভর করেছে, না, এনসাইক্লোপিডিয়ার অন্তরে কাব্য কোনো ফাঁকে ঢকে গেছে। এখন এ প্রশেনর উত্তর নিভয়ে দেওয়া যেতে পারে। বিশব অবশ্য কাব্যের পতবে সম্পট হয়েছে, কিন্তু বিশবকোষ কাব্যের অনেক পরে নিমিত হয়েছে। এ গ্রন্থের কথার বয়স ওর বক্ততার বয়সের চাইতে ঢের বেশি; অর্থাৎ ও-গ্রন্থের সার ওর ভারের চাইতে অনেক প্রাচীন। আর ভাগ্যিাস ও-সারািটকু তার উপর চাপানো ভারের ভরে মারা যায় নি, তাই ও-কাব্য আজও বজায় আছে। ও-গ্রন্থের কাব্যাংশ অর্থাৎ সারাংশ যদি বিশবকোষের চাপে পিষে যেত, তা হলে মহাভারত হত অর্ধেক বহৎসংহিতা আর অধোক বহৎকথা; অর্থাৎ তা সকলের পাঠ্য হত না, পাঠ্য হত এক দিকে বন্ধের, অপর দিকে বালকের। এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে পন্ডিতমশন্ডলী প্রায় একমত। তাঁরা নানা শাস্ত্র ঘেটে এই সত্য আবিস্কার করেছেন যে, মলে এ কাব্যের নাম ছিল ভারত, তার পরে তার নাম হয়েছে মহাভারত। এ সত্য উদ্ধারের জন্য, আমার বিশবাস, নানা শাস্ত্ৰ অনাসন্ধান করবার প্রয়োজন ছিল না। বর্তমান মহাভারতেই ও-দটি নামই পাওয়া যায়। আর ভারত যে মহাভারত হয়ে উঠেছে তার মহত্ত্ব ও গরীত্বের গণে, অর্থাৎ তার পরিমাণ ও ওজনের জন্যে, এ কথা আদিপবেই লেখা আছে। অতঃপর দেখা গেল যে, মহাভারতের পাবে ভারত নামক একখানি কাব্য ছিল। মহাভারত আছে, কিন্তু ভারত নেই। অতএব এখন প্রশন হচ্ছে, ভারত গোল কোথায় ? সে গ্রন্থ লপিত হয়েছে, না, গপত হয়েছে ? এ প্রশেনর একটা সোজা উত্তর পেলেই আমরা বতমান মহাভারতের কোন অংশ তার অপরিমিত মহত্ত্ব ও গরীত্বের কারণ, তা অনমান করতে পারব। মহাত্মা তিলক এ প্রশেনর যে উত্তর দিয়েছেন, তা উদধিত করে দিচ্ছি। তাঁর বক্তব্য এই যে সরল শব্দার্থে ‘মহাভারত।” অর্থে "বড় ভারত’ হয়।...বতমান মহাভারতের আদিপবে বর্ণিত হইয়াছে যে, উপাখ্যানসমহের অতিরিন্ত মহাভারতের শেলাকসংখ্যা চব্বিশ হাজার, এবং পরে ইহাও লিখিত হইয়াছে যে, প্রথমে উহার নাম ‘জয়া” ছিল। ‘জয়’ শব্দে ভারতীয় যন্ধে পান্ডবদের জয় বিবক্ষিত বলিয়া বিবেচিত হয় ; এবং এইরূপ অর্থ গ্রহণ করিলে,