পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৪

S08 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ রাজারা তাঁর ভয়ে কম্পপান্বিত ছিল। বলা বাহাল্য, এ-সব দেশ উত্তরাপথের পশ্চিমখন্ড। শ্ৰীহৰ্ষ প্রভাকরবর্ধনের দ্বিতীয় পত্র। তিনি ৫৯o খসেন্টাব্দে মহারানী যশোবতীর গভে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জ্যোিঠভ্রাতা রাজ্যবধােন তাঁর চাইতে বছর চারেকের বড়ো, এবং তাঁর ভগিনী রাজ্যশ্রী বছর দিয়েকের ছোটো। বাণভট কাদম্পবরীর রাজকুমার চন্দ্রপীড় কোথায়, কি কি শাস্ত্রে, কি ভাবে শিক্ষাদীক্ষা লাভ করেছিলেন, তার লম্বা বৰ্ণনা করেছেন ; কিন্তু হর্ষবর্ধনের শিক্ষাদীক্ষার বিষয়ে তিনি একেবারে নীরব। শােধ রাজকুমারদ্বয়ের কে কে অনাচর ছিলেন, সেই কথা বাণ আমাদের বলেছেন। রাজ্যশ্রীর জন্মের পর প্রভাকরবর্ধন, রানী যশোবতীর ভ্রাতুঙ্খপত্র ভডিনামানমনচরং কুমারয়োরপিস্তবান। এই ভন্ডিই পরে কি যন্ধক্ষেত্রে, কি মন্ত্রণাগাহে, প্রথমে রাজ্যবধানের পরে শ্রীহষের প্রধান সহায় ছিলেন। কিছকাল পরে প্রভাকরবর্ধন মালবরাজের পত্র কুমারগপত ও মাধবগাপত নামক ভ্ৰাতৃদ্বয়কে কুমারদ্বয়ের অনাচর করেছিলেন। এই মাধবগতেই পরে হর্ষবর্ধনের অতি অন্তরঙ্গ সহৎ হন। কুমারগপত ও মাধবগাপত যে hostage স্বরপে প্রভাকরবর্ধনের নিকট রক্ষিত হয়েছিলেন, এরকম অনমান করা অসংগত নয়। কারণ, প্রভাকরবর্ধন ছিলেন। মালবলক্ষীলতার পরাশ। কিন্তু ভন্ডি কে ? তিনি ছিলেন রানী যশোবতীর ভ্রাতুঙ্খপত্র। কিন্তু যশোবতী কার কন্যা, সে বিষয়ে বাণভট্ট সম্পপণ নীরব ; যদিচ তিনি রাজারানীদের কুলের খবর বিশেষ ক’রে রাখতেন। G কালক্রমে রাজ্যশ্রী বিবাহযোগ্যা হলেন। যখন তাঁর বিবাহ হয়, তখন তিনি বালিকা কিংবা কিশোরী, বাণভট্ট সে কথা খালে বলেন নি। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, তার থেকে অনামান করা যায় যে, একালে সারদা আইনে সে বিবাহ বাধত।। একদিন প্রভাকরবর্ধন বাহ্যিকক্ষপথ কোনো পরিষ কর্তৃক গীয়মান ব্যক্ষ্যমাণ আযাটি শনলেন। সারিদিব তাঁটমন বৰ্ষং বিবর্ধমানা সতো পিতারম ৷ এই গানটি শোনাবামাত্র তিনি যশোবতীকে সম্বোধন করে বললেন দেবি তরণীভুতা বৎসা রাজ্যশ্ৰীঃ। অতএব আর কালবিলম্পব না ক’বে ওর বিবাহ দেওয়া কতব্য। এর পরেই প্ৰসিদ্ধ মৌখরী-বংশের তিলকস্বরপ ক্যান্যকুষেজর রাজা অবস্তিবামার জ্যোিঠপত্র গ্রহবামার সঙ্গে রাজ্যশ্রীর বিবাহ হল। এ বিবাহ খাব ঘটা করে