পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৮

ᏚᏬbᎴ প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ মন্ত্রীরা হৰ্ষকে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত কপািত ইতস্তত করছিলেন, তখন ভন্ডির পরামশেই তাঁরা বালক হর্ষকে রাজা করেন। মালবরাজের বিরুদ্ধে রাজ্যবধান যখন যন্ধযাত্রা করেন, তখন ভন্ডিই দশ সহস্ৰ অশবারোহী সৈন্য নিয়ে তাঁর অন্যগমন করেন এবং সে-যন্ধে জয়লাভ করেন। রাজ্যবধারে মাতৃত্যুর পর ভিডিই হষের আদেশে গৌড়াধিপ শশাঙ্কের বিরদ্ধে যন্ধ করতে যান। সতরাং তিনিই GR RRíçTGK friend, philosopher and guide fZCarri, qof Var : অসংগত নয়। এই কারণেই ভন্ডি লোকটি কে, জানিবার জন্য কৌতহল হওয়া ঐতিহাসিকের পক্ষে স্বাভাবিক। বাণভট্ট এইমাত্র বলেছেন যে, ভন্ডি যশোবতীর ভ্রাতুলপত্র। কিন্তু যশোবতী যে কার কন্যা ও কার ভগিনী, সে বিষয়ে তিনি সম্পপণ নীরব। রাধাকুমদবাব বলেন যে, যশোবতী হানারি যশোবমনের কন্যা। যশোবমান যে-সে রাজা নন। হােনরাজ মিহিরকুলকে যন্ধে পরাভূত করে তিনি ভারতবর্ষ। নিহািন করেন, এবং এক দিকে ব্ৰহ্মপত্র হতে পশ্চিমসমাদ ও আর-এক দিকে হিমালয় হতে মহেন্দুপবত পর্যন্ত সমগ্ৰ ভারতবর্ষের সমাট হন। যশোবতী এ হেন রাজচক্লবতীর কন্যা হলে বাণভট্ট সে কথা গোপন করতেন না। আর যশোবমনের পত্র শিলাদিত্যই নাকি ভন্ডির পিতা, যে রাজার বিরদ্ধে লড়ে ভন্ডি ও রাজ্যবধােন জয়লাভ করেন। রাধাকুমদাবাব, যা বলেছেন, তা হতে পারে। কিন্তু এ বংশাবলী অাঁকে মেলে না। যশোবমান হন নিপাত করেছিলেন। ৫২৮ খাস্টাব্দে আর হর্ষের জন্ম হয় ৫৯o খসেন্টাব্দে ; সতরাং বিয়ের সময়ে যশোবতীর বয়স কত তা রাজ্যশ্রীর বিবাহ থেকেই জানা যায়। সতরাং ভন্ডি যে যশোবমনের পৌত্র, এ অনমান প্রমাণাভাবে অসিদ্ধ। SR তারিখ না থাকলে ইতিহাস হয় না। সতরাং ভারতবর্ষের ইতিহাস জানা একরকম অসম্পভব, কারণ সংস্কৃত সাহিত্য তারিখছাট। সেইজন্যই আমাদের দেশের কোনো ব্যক্তির অথবা কোনো ঘটনার তারিখ জানতে হলে বিদেশে যেতে হয়। চীনে লেখকদের মহাগণ এই যে, তাঁদের সকলেরই মহাকালের না হোক, ইহকালের জ্ঞান ছিল। ভাগ্যিস হিউয়েন সাং এ দেশে এসেছিলেন, তাই আমরা হর্ষবর্ধনের সঠিক কালনিৰ্ণয় করতে পারি। উক্ত চৈনিক পরিব্রাজকের ভ্ৰমণবত্তান্ত থেকে ও কতকটা ইন সক্রিপশনের সাহায্যে আমরা জানি যে, হর্ষ জন্মেছিলেন ৫৯o খাস্টাব্দে, রাজা হয়েছিলেন ৬o৬ খসেন্টাব্দে, আর তাঁর মাতু্য হয়েছিল ৬৪৮ খাস্টাব্দে। তারিখ বাদ দিয়ে ইতিহাস হয় না, একমাত্র প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস ছাড়া। কিন্তু তাই ব'লে ইতিহাস মানে প্রাচীন পঞ্জিকামাত্র নয়; এমন-কি, রাজরাজড়ার জীবনচরিতও নয়। আমরা একটা বিশেষ দেশের, বিশেষ কালের, বিশেষ সমাজের মতিগতি সব জানতে চাই। কিন্তু সে জ্ঞান লাভ করবার মালমসলা হর্ষচরিতেও