পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৩

পাঠান-বৈষ্ণব রাজকমার বিজলি খাঁ আমার বিশ্ববাস, নবাবি আমলের বঙ্গ সাহিত্যের অন্তর থেকে অনেক ছোটোখাটো ঐতিহাসিক তত্ত্ব উদ্ধার করা যায়। বলা বাহাল্য, সত্য মাত্রেই ঐতিহাসিক সত্য ri, Gran fact NCR scientific fact a 7CVSje akờT EIFVOGE VOTCI ইতিহাসেরও একটা Evidence Act আছে। যে ঘটনা উত্ত। আইনের বাঁধাধরা নিয়মের ভিতর ধরা না পড়ে, সে ঘটনা যে সত্য, এ কথা ইতিহাসের আদালতে গ্রাহ্য হয় না। সতরাং যে ঘটনা আমরা মনে জানি সত্য, তা যে ঐতিহাসিক সত্য, এমন কথা মািখ ফটে বলবার সাহস পাই নে, রীতিমত দলিলদস্তাবেজের অভাবে। আর বাংলা সাহিত্যে যে শােধ ছোটোখাটো ঐতিহাসিক সত্যের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, তাঁর কারণ সেকালে কোনো বাঙালি ইতিহাস লেখেন নি, লিখতে চেণ্টাও করেন। নি; প্রসঙ্গত এখানে-ওখানে এমন অনেক ঘটনার উল্লেখ করেছেন, যার গায়ে সত্যের সপটে ছাপ আছে। আর আমার বিশ্ববাস যে, ইতিহাসের ক্ষেত্রে ছোটো-বড়োর বিশেষ কোনো প্ৰভেদ নেই। সত্যের যদি কোনো মাল্য থাকে তো সে মাল্য ছোটোর অন্তরেও আছে, বড়োর অন্তরেও আছে। সতরাং সেকেলে বঙ্গ সাহিত্যের অন্তরে যে-সকল ঐতিহাসিক তত্ত্বের সন্ধান পাওয়া যায়, সেগলি তুচ্ছ বলে উপেক্ষা করবার জিনিস নয়। চৈতন্যচরিতামতের অন্টাদশ পরিচ্ছেদে কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় যে অদ্ভুত ঘটনার উল্লেখ করেছেন, সে ঘটনা যে প্রকৃত, কবিকল্পিত নয়, এই আমার চিরকেলে ধারণা। এবং এর ফলে, যাঁরা ঐতিহাসিক গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন, উত্ত ঘটনাটির প্রতি তাঁদের দন্টি আকর্ষণ করবার ইচ্ছা আমার বরাবরই ছিল। পাবে যে করি নি, সে কতকটা আলস্য ও কতকটা সংকোচাবশত। সম্প্রতি শ্ৰীযন্ত BDBSBBDB DDD DD DD DB BB LBB TDDD BBD DDBDB প্ৰবন্ধ লিখেছেন। তিনি বলেন যে, তাঁরও বিশ্ববাস ও-গল্পটি বৈষ্ণবদের কল্পিত নয়, সত্য ঘটনা। আমরা যদি সে যাগের ইতিহাসের অন্তর থেকে পাঠান-বৈষ্ণব বিজলি খাঁকে বার করতে পারি, তা হলে কবিরাজ গোস্বামী বাণিত বিবরণ যে সত্য সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়া যায়। উক্ত কারণেই শীল মহাশয় বিজলি খাঁর পরিচয় দিতে চেন্টা করেছেন। তিনি বলেন, চৈতন্যচরিতামতে যাঁকে বিজলি খাঁ বলা হয়েছে, তাঁর প্রকৃত নাম আহম্মদ খাঁ। আমার ধারণা অন্যরােপ। আমার বিশ্ববাস, চৈতন্যের যাগে বিজলি খাঁ নামে একটি স্বতন্ত্র ও স্বনামখ্যাত রাজকুমার ছিলেন, এবং কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় তাঁরই কথা বলেছেন। কি কারণে আমার মনে এ ধারণা জন্মেছে, সেই কথাটাই এ প্রবন্ধে বলতে চাই।