পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্তমান সভ্যতা বনাম বৰ্তমান যন্ধ O6 জমানির দিগ্বিজয়ের আশা দরাশা মাত্র। এ যন্ধের ফলাফল যাই হোক, ইউরোপের বর্তমান সভ্যতাকে এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে না; কারণ মিলিটারিজম সে সভ্যতার গহশালা। ইউরোপের সকল জাতির দেহেই এই মিলিটারিজম অল্পবিস্তর স্থান লাভ করেছে; একমাত্র জমনি তা পণ্যমাত্রায় অঙ্গীকার করেছে। যা অপর সকল জাতির অন্তরে বাইেপাকারে বিরাজ করছে জমানিতে তা জমে বরফ হয়ে গেছে। সতরাং এই সমরানলে বরফের এই কাঠিন্যের অগ্নিপরীক্ষা হয়ে যাবে। যদি এই অগিনিতে মিলিটারিজম ভস্মসাৎ হয় তা হলে যে কেবল অপরজাতি-সকলের মঙ্গল হবে শািন্ধ তাই নয়, জমানিও পরিবর্ধিত না হোক, সংশোধিত হবে। যে জাতি মানবাত্মার সঙ্গে ইউরোপের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, যে দেশে কাস্ট হেগেল গ্যেটে শিলার বীঠোভেন মোজাট জন্মলাভ করেছে, সে জাতির কাছে ইউরোপীয় সভ্যতা চিমঋণী। এই মিলিটারিজমের মোহমান্ত হলে সে জাতি আবার মানবসভ্যতার প্রবল সহায় হবে। মিলিটারিজম হেয় বলে বর্তমান বৈশ্যসভ্যতাই যে শ্রেয় এ কথা আমি বলতে পারি নে। কোনো সভ্যতাই নিরাবিল ও নিম্পকলাষ নয়, বৈশ্যসভ্যতাও নয়। তবে কোনো বর্তমান সভ্যতার দোষগণ বিচার করতে হলে তার অতীতের প্রতি যেরপ দটি রাখা চাই, তার ভবিষ্যতের প্রতিও তদুপ দন্টি রাখা চাই। বতমান যে, অতীত ও ভবিষ্যতের সন্ধিস্থলমাত্র এ কথা ভোলা উচিত নয়। বতমানের যে-সকল দোষ সপ্যািট লক্ষিত হচ্ছে ভবিষ্যতে তার নির্যাকরণ হবার আশা আছে কি না, এ সভ্যতা সর্বীয় শক্তিতে স্বীয় রোগমন্ত হতে পারবে কি না, এই হচ্ছে আসল জিজ্ঞাস্য। আমার বিশ্ববাস, বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতার সে শক্তি আছে। সে যাই হোক, বৈশ্যসভ্যতার রোগ সারাবার বৈধ উপায় হচ্ছে মন্ত্রৌষধির প্রয়োগ- জমানির অস্ত্রচিকিৎসা Në অগ্রহায়ণ ১৩২১