পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOSR প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ কেনোপমা ভবতি তেহাস্য পরাক্রমস্য, রূপঃ শত্রভিয়কার্যাতিহারি কুত্র। চিত্তে কৃপা সমরনিক্ঠারতা চ দাম্ৰাটৰা তষ্যোব দেবি বরদে ভুবনত্রয়োহাপি৷ আমরা দেবীর দন্টিতে যার সাক্ষাৎপরিচয় পেয়েছি সে সমরনিক্ঠরতার নয়, চিত্তকৃপার। আমার এ কথা শানে তুমি যা উত্তর দেবে তা জানি। তুমি বলবে, ও-সব হচ্ছে illusion আর delusion। অবশ্য তাই। কিন্তু এ সত্যটিও মনে রেখো যে illusion আর delusion থেকে আমরা কেউ মন্ত নই। সারা জীবন এই দটিকে নিয়েই আমরা ঘর করি, একরকম delusionএর হাত থেকে মন্তিলাভ করে আর-একরকম delusionএর বশীভূত হই। এক ঠাকুরকে বিসজান দিয়ে আর-এক ঠাকুরের পজো করতে শর, করি। তা ছাড়া যে-সকল ভুলবিশ্ববাস আমাদের মন থেকে চলে যায়, মনের উপর সে-সকল তাদের ছায়া আলো দই রেখে যায়, স্পমতি আজীবন তার জের টেনে চলে। আমরা যাকে মন বলি তার ভিতর কাট-ছাঁটা হীরকখন্ডের মতো নিরেট কঠিন জবলজৰলে সত্য খাব অলপই আছে, তার বেশির ভাগ জায়গা জড়ে বসে আছে যত অস্পন্ট অনিন্দিভট ভাব। আর আমাদের মতামত কাৰ্যকলাপের উপর এই-সকল অস্পন্ট মনোভাবের প্রভাব বড়ো কম নয় এবং সে প্রভাবকে দরি করা কঠিন, কারণ তা অলক্ষিত। আমার এ-সব কথা শানে ভয় পেয়ো না যে আমি আবার কোচে পৌত্তলিক হতে যাচ্ছি। আমার চিরজীবনের শিক্ষা সে ফেরবার পথে কাঁটা দিয়েছে। DB BDB DDD DDD DBBBDYSDBDBD YB S DDDYBDDBB S L দাশনিকদের হাতে ধোলাই হয়েছে। তা ছাড়া আমাদের মনের পক্ষে কালাপানি পার হবারও কোনোই দরকার নেই, সবদেশের মনোজগতে কিঞ্চিৎ পিছ হাঁটলেই এমন জায়গায় পৌছনো যায়, যেখানে যাবামাত্র আমাদের প্রতিমা ভক্তি উড়ে যায়। ‘ন প্রতিকে ন হিংস” এ সত্রে তো বেদান্তেই আছে। আর বলা বাহাল্য যে, এ যাগে আমরা সবাই বৈদান্তিক, অর্থাৎ আমরা ধম মানি, কিন্তু কোনো ধমই মানি নে। আমার মনের কথা তোমাকে এতটা খালে বলবার উদ্দেশ্য এই সত্যটা সপটি করা যে, আমার পথিপড়া মন সংস্কৃত-বিলেতি হলেও তার নীচে যে মন আছে তা মািলত বাঙালি। বাঙালি হিন্দর মনের ধমের পরিচয় নিতে হলে বাঙালির চিরাগত ধর্মের পরিচয় নিতে হয়। তোমাকে সমরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, বাংলা ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোথাও দাগোৎসব জাতীয়-উৎসব নয়। এ বিষয়ে আমার শেষ কথা এই যে, আমাদের পারিবারিক ও সেইসঙ্গে আমাদের সামাজিক ধম আমাদের মনের ঘরে যে রােপ রস গন্ধ ও তেজ সঞ্চিত রেখে গিয়েছে তার জন্য আমি মোটেই দঃখিত নই। ষোড়শোপচারে এই মতি পাজার প্রসাদেই বাঙালিজাতির মনের poetic এবং aesthetic অংশ গড়ে উঠেছে। কোনো ধমবিশ্ববাস মানষের মন থেকে চলে গেলেও তার রপিটকু তার সৌরভাটবুকু সেখানে রেখে যায়। এটা কখনো লক্ষ্য করেছ যে, দশন-বিজ্ঞানের আক্রমণে ধম কখনো মারা যায় না, হয় শািন্ধ রূপান্তরিত ? কোনো বিশেষ ধমমতকে যখন আর সত্য বলে বিশ্ববাস করা চলে না, তখন বৈষয়িক লোকের