পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫৪

888 2Íፍ'ቐ•ቸኛajt& হয়। সেই উপায়েই সাহিত্যও বাজারে বিক্লিক করা হয়। লেখক সমালোচক হয়। একই ব্যক্তি, নয় পরস্পরে। একই কারবারের অংশীদার। আমার মাল তুমি যাচাই করে পয়লা নম্পবরের বলে দাও, তোমার মাল আমি যাচাই করে পয়লা নম্পবরের বলে। দেব-এইরকম একটা বন্দোবস্ত পেশাদার লেখকদের মধ্যে যে আছে। এ কথা সহজেই মনে উদয় হয়। এই কারণেই পেটেন্ট ঔষধের মতোই একালের ছোটোগলপ কিংবা ছোটোকবিতার বই মেধা হুী ধী শ্ৰী প্রভাতির বধক এবং নৈতিক বলকারক বলে উল্লিখিত হয়ে থাকে। কিন্তু এরপ কথায় বিশ্ববাস স্থাপন করে পাঠক নিত্যই প্রতারিত এবং প্রবশ্চিত হয়। যা চ্যবনপ্রাশ বলে কিনে আনা হয়। তা দেখা যায় প্রায়ই অকালকুজ্জামান্ডখন্ডমাত্র। অতিবিজ্ঞাপিত জিনিসের প্রতি আমার শ্রদ্ধা অতি কম। কারণ, মানবহৃদয়ের স্বাভাবিক দিবলতার উপর বিজ্ঞাপনের বল এবং মানবমনের সরল বিশবাসের উপর বিজ্ঞাপনের ছল প্রতিষ্ঠিত। যখন আমাদের একমাথা চুল থাকে তখন আমরা কেশবধক তৈলের বড়ো-একটা সন্ধান রাখি নে। কিন্তু মাথায় যখন টাকা চকচক করে ওঠে তখনই আমরা কুন্তলবষ্যের শরণ গ্রহণ করে নিজেদের অবিমিষ্যকারিতার পরিচয় পাই এবং দিই। কারণ, তাতে টাকের প্রসার ক্রমশই বন্ধি পায় এবং সেইসঙ্গে টাকাও নন্ট হয়। বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য আমাদের মন ও নয়ন আকর্ষণ করা। বিজ্ঞাপন প্রতি ছত্রের শেষে প্রশন করে- “মনোযোগ করেছেন তো ?” আমাদের চিত্ত আকর্ষণ করতে না পারলেও বিজ্ঞাপন চব্বিশ ঘণটা আমাদের নয়ন আকৰ্ষণ করে থাকে। ও জিনিস চোখ এড়িয়ে যাবার জো নেই। কারণ, এ যাগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রবন্ধের গা ঘেষে থাকে, মাসিকপত্রিকায় শিরোভূষণ হয়ে দেখা দেয়; এক কথায় সাহিত্যজগতে যেখানেই একটি ফাঁক দেখে সেইখানেই এসে জড়ে বসে। ইংরেজি ভাষায় একটি প্রবচন আছে যে, প্রাচীরের কান আছে। এ দেশে BDB BB D DD DD DS BDBD DBBB DBDBD DBBD BDS DBDBB DBD পাশেবর প্রাচীর মিথ্যা কথা তারস্বরে চিৎকার করে বলে। তাই আজকাল পথিবীতে চোখকান না বাজে চললে বিজ্ঞাপন কারো ইন্দ্ৰিয়ের অগোচর থাকে না। যদি চোখকান বাজে চল, তা হলেও বিজ্ঞাপনের হাত থেকে নিস্তার নেই। কারণ, পদব্ৰজেই চল আর গাড়িতেই যাও, রাস্তার লোকে তোমাকে বিজ্ঞাপন ছাড়ে মারে। এতে আশচযা হবার কোনো কথা নেই ; ছড়ে মারাই বিজ্ঞাপনের ধাম । তার রঙ ছড়ে মারে, তার ভাষা ছাড়ে মারে, তার ভাব ছাড়ে মারে। সতরাং বিজ্ঞাপিত জিনিসের সঙ্গে আমার আত্মীয়তা না থাকলেও তার মোড়কের সঙ্গে এবং মলাটের সঙ্গে আমার চাক্ষষ পরিচয় আছে। আমি বহা, ঔষধের এবং বহ গ্রন্থের কেবলমাত্র মািখ চিনি ও নাম জানি। যা জানি, তারই সমালোচনা করা সম্পভব। সতরাং আমি মলাটের সমালোচনা করতে উদ্যত হয়েছি। অন্তত মািখপাতটকু দোরাসত করে দিতে পারলে আপাতত বঙ্গ সাহিত্যের মােখরক্ষা হয়। আমি পাবেই বলেছি যে, নব্যবঙ্গ সাহিত্যের কেবলমাত্র নাম-রাপের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। প্রধানত সেই নাম-জিনিসটার সমালোচনা করাই আমার উদ্দেশ্য। কিন্তু রপ-জিনিসটে একেবারে ছেটে দেওয়া চলে না বলে সে সম্পবন্ধে