পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যািসন্মিলন dy পর বিজ্ঞান আবার সেই বাপেকে ঠান্ডা করে সেই বরফকে তাতিয়ে জল করে দেয়, এবং অক্সিজেনে-হাইড্রোজেনে পািনমিলন করে দেয়। কিন্তু আমরা এক নজরে যা দেখতে পাই, তাই হচ্ছে প্রত্যক্ষ জ্ঞান। এ জ্ঞানও একের জ্ঞান, অতএব প্রত্যক্ষ জ্ঞান হচ্ছে তত্ত্বজ্ঞানের সবণ। ঈশাবাস্যমিদং সবং যৎ কিন্তু জগত্যাং জগৎ এ কথা তাঁরই কাছে সত্য, যাঁর কাছে এটি প্রত্যক্ষ সত্য। কেননা, কোনোরাপ অকের সাহায্যে কিংবা মাপের সাহায্যে ও-সত্য পাওয়া যায় না। একত্বের জ্ঞান কেবলমাত্র অনভূতিসাপেক্ষ। আমি পাবে বলেছি, প্রত্যক্ষ জ্ঞানের জন্য ইন্দ্ৰিয়গ্রামে মনঃসংযোগ করা চাই ; সেই মনঃসংযোগের জন্য আন্তরিক ইচছা চাই, এবং সেই ইচ্ছার মলে আন্তরিক অনরোগ চাই ; এবং এ অনােরাগ অহৈতুকী প্রীতি হওয়া চাই। কোনোরাপ আবার্থসাধনের জন্য যে সত্য আমরা খাঁজি, তা কখনো সন্দর হয়ে দেখা দেয় না। যে প্রীতির মহলে আমার সহজ প্রবত্তি নেই, তা কখনো অহৈতুকী হতে পারে না। সতরাং সত্য যে সন্দর, এই জ্ঞানলাভের উপায় হচেছ সহজসাধন, অর্থাৎ সবাপেক্ষা কঠিন সাধন। কারণ আত্মার উপর বিশ্ববাস আমরা হারিয়েছি। সে যাই হোক, বিজ্ঞানের অবিরোধে যে প্রত্যক্ষ জ্ঞানের চর্চা করা যায়, এ বিশ্ববাস হারালে আমরা কাব্য-শিল্প সম্মিট করতে পারি নে। বিজ্ঞান হচেছ পােব সন্ট পদার্থের জ্ঞান। নাতন সন্টির হিসাব বিজ্ঞানের পাকা খাতায় পাওয়া যায় না। সন্টির মলে যে চিররহস্য আছে, তা কোনোর প। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রে ধরা পড়ে না। এই কারণে দেশের লোককে বিজ্ঞানের চর্চা করবার পরামর্শ দেওয়াটা সৎপরামর্শ, কেননা যা সাপটে তাতে সব সাধারণের সমান অধিকার আছে। অপর পক্ষে কাব্যে শিলেপ অধিকারীভেদ আছে। সত্যের মাতি দশন সকলের ভাগ্যে ঘটে না। जाष्ठे ७७२७