جا به سمت প্রবাসী জলন্ত দৃষ্টিতে ডাক্তারের দিকে চেয়ে সিতাংশু জিজ্ঞেস कद्ररल, “कङ झांभ ?”
- বার আনা।”
সিতাংশু একটা টাকা ফেলে দিয়ে চলে গেল। পিছন থেকে ডাক্তার চ্যাটাজা বললেন, “ও মশাই, চেঞ্জটা নিয়ে যান।” কিন্তু সে ফিরল না । 靠 寝 o শরৎ বাড়ী আসতে তার মা খুব বকতে হুরু করলেন। তার অপরাধ সে গিয়ে মাত্র একখানা চিঠি দিয়েছিল । নিশাও খুব রাগ করেছিল । শরং তাকে চুপি চুপি বললে, “ক-দিন বাদে আর রাগ করবে না।” নিশা কিছুই বুঝতে পারলে না। শরৎ বললে, “দেখ আমাদের এখন কিছুদিন তোমার দাদার বাড়ী গিয়ে থাকতে হবে।” “কেন ? না সেখানে আমি যাব না।” “যা বলছি শোন না। তোমার দাদা কলকাতায় আসছেন।” - ‘দাদা ? সে কি ? তুমি কি ক’রে খবর পেলে ?” “আমার এক বন্ধু টেলিগ্রাম করেছে।” “তিনি দাদাকে চিনলেন কি ক’রে ?” “কি বিপদ! চেনা কি অসম্ভব ? সে চেনে তাই লিখেছে।” সিতাংশু বাড়ী এসে শরং আর নিশাকে দেখে আশ্চৰ্য্য হয়ে গেল। শরৎ বললে, “কিছু মনে করবেন না, বাড়ীট পড়েছিল কি না তাই---” “বেশ করেছ। ই, এলাহাবাদে তোমার কোন চেনা লোক অাছে কি ? ডাক্তার’ নতুনীল চ্যাটাজী—সে আমার বিশেষ বন্ধু। চমৎকার o লোক- ** “আমার তা মনে হয় না।” - “বলে কি ? চমৎকার লোক ! সে কি আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে ?” “সে সব অনেক কথা, পরে হবে। নিশা কই ?? নিশা এসে তাকে নমস্কার ক’রে র্কাদতে লাগল। সিতাংশু তার মাথায় হাত দিয়ে বললে, “কাদছিস কেন ? ফিরে এসেছি ত। শরৎ গেল কোথায় ? আচ্ছা থাকৃ, তুই বোস।" নিশার সঙ্গে এলাহাবাদের গল্প করতে করতে কতক্ষণ কেটেছিল বলা যায় না। হঠাৎ সামনে জটিলানন্দকে দেৰে সিতাংশুর চমক্ ভাঙল। সে কিছু বলবার অন্ত্ৰই স্বামীজী বললেন, “তুমি বড় অবিশ্বাসী, সয়্যাস তোমাৰ হবে না। এই নাও তোমার বাড়ীর দলিল । দলিলট দেখে নিয়ে সিতাংশু বললে, “এ কি করেছেন । কার নামে • • • • • • y: “যে সত্যি পাবে তারই নামে লিখে দিয়েছি। আমলাকে কাছে পেলে আশীৰ্ব্বাদ ক’রে যেতাম।” নিশা সিতাংশুর কানে কানে বললে, “দাদা, ও সতি্যু সন্ন্যাসী নয়, দেথ না ওর সাদা চুলের মধ্যে থেকে কাজ কাল চুল দেখা যাচ্ছে।” সিতাংশু টপ ক’রে জটিলানন্দের চুল ধরে ক্ষয় निएल । সন্ন্যাসীর নূতন চেহারা দেখে নিশা মাথায় কাপড় টেনে দিলে। সিতাংশু বললে, “তোমার এই কীৰ্ত্তি ” শরং হাসতে হাসতে বললে, “না করে কি করি বলুন । এদিকে নিশ কাদছে, ওদিকে অমল দেবী কাদছেন! আর দূরে - Π. “দূরে কি ?" নিশা টানতে টানতে, আমলাকে এনে হাজির করলে |
