পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১০১

আদিম ধরণী - স্ত্রীশেরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য হে আদি সরল পৃথুি, স্বষ্টির সবুজ শতদল, গন্ধে গীতে ছন্দে রসে পূর্ণ তুমি ছিলে মা নিৰ্ম্মল! অনাদি আনন্দতনু-গন্ধ হ'তে সাকার শরীরী, অম্বরে প্রণব গান উঠেছিল তোরে ঘিরি ঘিরি। আদিম রঙীন প্রাতে আদিত্যেরে করি প্রদক্ষিণ, তোরি খাম কটি-নৃত্যে জেগেছিল ছন্দ মা নবীন। অরূপ রসের কেন্দ্রে ব্রহ্মরসে দানা বেঁধে অয়ি, ऽिब्राष्ट्र-छूनांत्री ड्रड्रे भूद्म८घ्र भां शनि प्रश्नभघ्नौ । সৌরজগতের মধুরাসনৃত্য হিন্দোল-স্বপনে, প্রথম ঝরিল মধু তোরি আদি শুগমকুঞ্জবনে । স্নিগ্ধ দেহে বহে যেত অবিরল আনন্দের ধার, উষার কনকবন্যা চন্দ্রমার জোছনা-পাথার, ধুয়ে দিয়ে যেত নিত্য ভব হাম-সবুজ প্রাঙ্গণ ; বক্ষে তব নিরুদ্বেগে ছিল ওগো নিদ্রাজাগরণ । বাধাবিঘ্নগ্নানিহীন তোমার শিশুর চিত্তক্ষুধা, তোমারে অথও করি করিত মা ভোগ তব সুধা । সে আনন্দমৃধা তোর কে ভরিয়া দিল হলাহলে, কোটি পাকে আজি তুই জর্জরিত শৃঙ্খলে শৃঙ্খলে । তোর মৃত্তিকায় আজি ভোগলুব্ধ মানবের পাপে কামবহি জলে উঠি ভরে দিল তোরে তাপে তাপে। অনন্ত যুগের তাপে বক্ষে ভোর উড়ে অগ্নিধূলি, দগ্ধ মৃত্তিকায় তব আত্মা ੱਝ আকুলি । ক্ষুধিত সন্তান র্কাদে অন্য দিকে বিজ্ঞান-বিলাসী, যন্ত্রের মালায় বাধি করিবারে চাহে তোমা দাসী। > তুই যে শক্তির কন্যা গর্জে ওঠ আজি একবার, বক্ষে তোর ঋষিপুত্র করিয়া উঠুক হুহুঙ্কার। দন্তী তম:রাজসিক-বুভূক্ষার অনন্ত বাধন ছিন্ন হোক। বিজ্ঞানের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা আয়োজন চূৰ্ণ হোক রেণু সম । খণ্ড খণ্ড ভাগ করা কাল, স্নিগ্ধ তব বক্ষ ঘেরি মহাকাশে হউক বিশাল । তোর মৃত্তিকার পরে ধৌত করি পাপতাপগ্নানি, পুন: মা পড়ুক মন্ত্র নব শিশু আনন্দসন্ধানী। পুত্রকন্যা পুনঃ তোর দেবজন্ম লভি দেহে প্রাণে, জীবন-উৎসব তার মিশাক মা তব ছন্দে গানে। পুনঃ মাগো স্বৰ্গ হতে দেবদেবী মৃধাপাত্র হাতে বক্ষে তোর নেমে আসি স্মিতহাস্তে মানবের সাথে বাধুক মিলন-গ্রন্থি। আবার আস্থক শাস্তি ফিরে ” জড়াইয়া ধরি তব আদিম সে স্বপ্নরাজ্যটিরে। নদীতীরে শৈলে বনে অঙ্গরীর পুনঃ জেগে উঠি বীণ বাজাইয়া মাগো মেলে দিক মুগ্ধ আঁখি ছটি ; তোর সর্বদেহ পরে খুলে যাক বৈকুণ্ঠের দ্বার, জরা মৃত্যু জয় করি পুত্র তোর দাড়াক আবার ; গীতে গন্ধে সারা স্বষ্টি করিয়া উঠুক গুজরণ, - মুক্ত হয়ে খুলে যাক বক্ষে তোর অবাধ জীবন। রঞ্জন সে স্বপ্নরাজ্যে দাড় মা আবার কাব্যময়ি, স্বাক্টর সকল মধু বক্ষে তোর ঝরে যাক অয়ি | মা তোর আদিম গেহে ভেঙে যাক সকল বাঁধন, অসীম জীবনে পুন: মাতা পুত্রে হোক আলিঙ্গন।