পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুনয়নীর মৃত্যু স্ত্রীরামপদ মুখোপাধ্যায় r y মাজিবার o কলতলায় বাসন কালে সুনয়নী চিঠিখান

  • ाझेtजम ।

সদর খুলিলেই ছোট উঠান ও কলতলা একসঙ্গে নজরে পড়ে। জান-পিণ্ডন দুয়ার অল্প একটু ফাক করিয়া মাত্র চিঠিসমেত হাতখানি বাড়াইয়া মুখে অনুচ্চ সংক্ষিপ্ত চিঠি' শৰ উচ্চারণ করিয়া দুটি আঙুলের চাপ শিথিল করিয়া দে। চিঠি কখনও দুয়ারের কোলেই টুপ করিয়া খসিয়া পড়ে, বায়ুর বেগে কখনও বা উঠানে আসিয়া পড়ে। -- আজ অল্প বাতাস ছিল বলিয়া স্থনয়নীর পায়ের তলায় আসিয়া চিঠিখানি যেন প্রণাম জানাইল । বাসন মাজিতে মাজিতে মুনয়নী হাকিলেন, ‘ওরে বুধ, সুধা, চট করে একবার এদিকে আয় দেখি মা, একথান চিঠি এল। সকৃড়ি হাত, আয় না মা চট করে । বাড়ীখানি দ্বিতল নহে যে সুধার নামিয়া আসিতে দেরি হইবে । জীর্ণপ্রায় একতলা দুখানি ঘর, পাশের ছোট ফালি বারান্দ হইতে অল্প স্বল্প ধোয়া বাহির হইতেছিল। বুধ উনানে আঁচ উঠাইবার চেষ্টায় ভাঙা হাত-পাখাথানি প্রাণপণে নাড়িতেছিল ; কিন্তু পাথায় বাতাসের চেয়ে শব হইতেছিল বেশী ও ধোয়ার গাঢ়ত্বও তেমন আশাপ্রদ নছে। উনান শীঘ্র না ধরিলে বাবার আপিস ‘লেট হইতে পারে। সকাল হইতে বেলা নটা পৰ্য্যন্ত প্রত্যেকটি মিনিটের মূল্য এ-বাড়ীতে বড়ই চড়া, নটার পর ঘণ্টার খবরদারি না করিলেও কিছু যায় আসে না । মায়ের প্রথম ডাক তাই কৰ্ম্মরতা স্বধার কানে যায় নাই, দ্বিতীয় ডাকে সে পাখী ফেলিয়া ফালি বারান্দাটুকু এক সেকেণ্ডে পার হইয়া উঠানে নামিয়া আসিল ও মায়ের পায়ের তলা হইতে একথান খামেভরা চিঠি তুলিয়া লইয়া তাহাতে মনোনিবেশ করিল ।

মনোনিবেশই করিল, সমস্ত চিঠিখানা পড়া শেষ হইলেও মুখে তাহার একটি কথাও বাহির হইল না। অধৈৰ্য্য হনয়নী বাসনে একরাশ ছাই ঘষিতে ঘষিতে जउकाई कश्रिजन, नश्व भरबद्ध खारख्ज, बलि ििथान দিলে কে ? মেয়ের কানে মায়ের প্রশ্ন প্রবেশ করিল না, সে-ও পাণ্টা প্রশ্ন করিল, রমলা দেবী কে মা ? স্বনয়নী ক্ষণেকের তরে বাসনমাজ থামাইয়া উজ্জল মুখে বলিলেন, রমলা কে জানিস নে ? আমাদের রমলী যে, তোর মাসী হয়। একটু থামিয়া বলিলেন, তা তোরই বা দোষ কি, জীয়ে অবধি মাসীকে দেখিস নি ত কখনও! তুই ত তুই, যে-ঘরে সে পড়েছে চন্দ্রসুর্য্যি তার মুখ দেখতে পায় বড়। কলকাতায় সাতখানা বাড়ী, ওরা থাকে শু্যামবাজারের বড় বাড়ীতে ' তথাপি মুম্বার মুখে বিস্ময়ের রেখাগুলি মিলাইল না দেৰিয়া নুনমুনী দেবী একগাল হাসিয়া বলিলেন, "মাস মাস পাচটা করে টাকা মনি-অর্ডার আসছে কার দৌলতে ? ওই মাসীর। খুড়তুতো বোন হ’লে কি হম-আপনার মেয়ের চেয়ে ভালবাসে তোকে । তাই, তোর পড়ার খরচ বলে মাস মাস ঐ টাকা পাঠায়।’ এতক্ষণে স্বধার মুখের বিস্ময় ভাব কাটিয়া গেল । স্থনয়নী সাগ্রহে প্রশ্ন করিলেন, ‘তা কি লিখেছে রমলা ? ভাল আছে ত ? মুখা মুখখানি নামাইয় অত্যন্ত স্বয়ম্বরে दलिल, মারা গেছেন।” সবিস্ময়ে চোখ কপালে তুলিয়া স্থনয়নী কহিলেন, ‘মারা গেছে ? রমলা ? তবে চিঠি লিখলে কে ? 'তাঁর ছেলে । ছাপানো চিঠি দিয়েছেন—নেমভন্নের । ৫ই তার শ্রাস্কের দিন । তিনি