পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wこ> বর্ষা ঘাই-ঘাই করিয়াও যায় না। পথের ধারে খানায় খন্দে জল এখনও থই-থই করিতেছে, কিন্তু তাহার উপর রৌদ্রের হাসিও থাকিয়া থাকিয়া ঝরিয়া পড়িতেছে। আকাশে কালে মেঘের বুক চিরিয়া স্থৰ্য্য-কিরণ ঝলসাইয়া উঠিতেছে । হৈমন্তীর মনেও আলো-অন্ধকারের খেলা এমনই করিয়া চলিয়াছে। নিখিলের একটা আকস্মিক উক্তিতে তাহার মনে নূতন রং ধরিয়াছে, সংশয়ের মেঘ বারে বারে ছিন্ন হইয়া আশার দীপ্তি ফাটিা পড়িতেছে। কিন্তু পরের মুখের কথায় মনকে এতখানি নিঃসংশয় করা কি সহজ ? হৈমন্তীর মনের কোণের আশার আলোটি উজ্জল হইয়া উঠিতে উঠিতেই আবার স্নান হইয়া যায়। তপন হৈমন্তীকে ত কিছুই বলে নাই, তবে তাহাকে নিজের মনের কথা হৈমন্তী কি - করিয়া বলিবে ? ভদ্রতার শাস্ত্রে শালীনতার শাস্ত্রে ইহা যে নিষিদ্ধ। এমন ত নয় যে তপনের মনের কথা বলিবার কোনই স্থযোগ ঘটে নাই। পৃথিবীতে কত দুস্তর বাধা অতিক্রম করিয়া মানুষ কতবার এ-সুযোগ আপনি করিয়া লইয়াছে ইতিহাসে তাহার প্রমাণের অভাব নাই। সে তুলনায় তপন ত কত স্থযোগ হেল্প হারাষ্ট্রয়াছে বলা যাইতে পারে। কিন্তু হয়ত সব মানুষ এক রকম নয়। এক ক্ষেত্রে যে বীরশ্রেষ্ঠ, অন্য ক্ষেত্রে তাহার ভীরুতার সীমা নাই, এমন মানুষ ত কতশত আছে। তপন কি সেই রকম মানুষ হইতে পারে না ? হয় ত তাহাই ; না হইলে এই অকারণ নীরবতার প্রতিজ্ঞার কোনও অর্থ হয় না। মানুষ এই সঙ্কোচকে ভীরুতাই বলে বটে, কিন্তু-ইহমন্তীর মন তাহ বলিতে চাহে না। মিলির বিবাহের পর হইতেই বাড়ীটা কেমন যেন বিমাইয়া পড়িয়াছে। এ-বাড়ীতে কেহই আর আসে न1 ।। স্কুরেশের বাড়ীর পার্টির পর তপন এবং নিখিল একবারও এ বাড়ীতে আসে নাই। একটুখানি খবরের টুকরা কি এককণী আশার ইঙ্গিতের জন্য হৈমন্তীর মন ছটফট, করিতেছিল। o অলখ-ঝোরা শ্রীশান্ত দেবী কিন্তু কোথায়ও কোন সাড়া নাই। স্বধা আসিলে তাহার কাছে মনের কথা বলিয়া হয়ত একটু মনটা হাল্কা হইত, অথবা " একটুখানি স্বপরামর্শ পাওয়া যাইত। কিন্তু সুধাও এখানে নাই, সে সুরেশদের পার্টির পরদিনই মহামায়াকে লইয়া নয়ানজোড়ে চলিয়া গিয়াছে। ঠিক কবে যে আসিবে, - তাহাও বলিয়া যায় নাই । মনে এতবড় একটা বোঝা লইয়া এই নিঃসঙ্গ দিনগুলা হৈমন্তী কি করিয়া কাটাইবে ? তাহার মন অস্বাভাবিক - ब्रदभ 5क्षज्ञ श्ड़ेब्रा डॉठेज ।। ७डप्लेदू ७को श्रोफ़ि थदब्र दि পাওয়া যায় না ? তপন ছাড়া আর কে তাহা দিতে পারে ীি অন্তের মুখের কথা ত হৈমন্তী দুইবার শুনিয়াছে, কিন্তু তাহাতে মন ত ঠাণ্ডা হয় না । তপনের মনে এদিককার সম্বন্ধে হয়ত কোনও ভুল ধারণা আছে, হয়ত এমন কোনও বাধাকে সে দুরতিক্রমণীয় মনে করিতেছে, যাহা বাস্তবিক কোন বাধাই নয় ; তাই যথাস্থানে তাহার মনের কথা আসিয়া পৌছিভেছে না। এমন সময় শালীনতার শাস্ত্রে হৈমন্তী যে আচরণ নিষিদ্ধ মনে করিতেছে, বাস্তবিক কি তাহা নিষিদ্ধ ? যদি তপনের কোনও ভুল সে ভাঙিয়া দিতে পারে, যদি তাহার কোনও বাধা দূর করিয়া পথ সুগম করিম দিতে পারে, তাহা হইলে সে কার্য্যে হৈমন্তীর একটুখানি । অগ্রসর হওয়াই ত ন্যায়সঙ্গত ও মনুষ্যজনোচিত কার্য। হৈমন্তী এই লইয়া আর বসিয়া বসিয়া ভাবিতে পারে না। যদি তাহার একটুখানি অগ্রসর হওয়া ভুলই হয়, डाश{ॐहै - বা কি যায় আসে ? মানুষ ভাল ভাবিয়া ভুল কি করেন । ভুল হইবার ভয়ে নিশ্চল বসিয়া থাকিলে শিশু ত কোন"ি হাটিতেও শিখিত না। তাছাড়া সে যাহার সম্বন্ধে ও র্যাং" কাছে ভুল করিবে, সে মানুষটি ত তপন ছাড়া আর *ে নয়। হৈমন্তীর ভুলের ছুতা লইয়া হৈমন্তীকে জর্জাম ফেলিবার মানুষ যে རྩྭཀྲa ns, এ-বিষয়ে হৈমন্তীর মনে * কণাও সন্দেহ নাই। --

N- \

--།། ኧ - - - - _