পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o סר-ט প্রবাসী 소\DEE. নেই। এই মপ্রিলয়ের পর মানব-সভ্যতার মধ্যে নতুন ক’রে প্রাণ সঞ্চর করবে কে ? আপনার দেশেই হোক কি আমাদের দেশেই হোক, ধৰ্ম্মের নিগৃঢ় নিলয়ে যদি জীবনের সাধনার একটু-আধটু বীজ পড়ে থাকে, এই গৰ্ব্বিত প্রলয়ে উপেক্ষিত হয়েও যদি তা কোনো রূপে কোথাও টিকে থাকে, তবে এই প্রলয়ের পর আবার নব স্বষ্টির কিছু আশা করাও যেতে বা পারে। আবার যদি মানব-ইতিহাসকে কেউ গড়তে পারে তবে পারবে মানুষের ধৰ্ম্ম । কারণ ধারণ করাই হ’ল ধৰ্ম্মের ভিতরকার কথা । কিন্তু সেই ভরসাও ক্ষীণ হয়ে আসে যখন দেখি ধৰ্ম্ম তার সহজ সরল স্বরূপটি বিসর্জন দিয়ে আত্মঘাত এবং সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বঘাত করতে উদ্যত হয়েছে। ধৰ্ম্মও আজ সাম্রাজ্যবাদের চালে আপনাকে বিপুল জগৎ-জোড়া করে তুলতে চাচ্ছে। অর্থাৎ যখন অতি বিপুলতার দোষে মানব-সভ্যতা ভুবতে উদ্যত, তখন ধৰ্ম্ম কোথায় রক্ষা করবে, না তার অনুসরণ করে সেও সহমরণে মরতে উদ্যত এমনি অন্ধ পণ করেছে সে । আমাদের দেশেও দেখছি ধৰ্ম্ম আজ তার প্রাচীন ভারতের সরল আদর্শের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে ! মৃত্যুর আগে অনেক কীটের পক্ষবিস্তার ঘটে। মানবসভ্যতার সেই পক্ষবিস্তার দেখা যাচ্ছে তার সাম্রাজ্যবাদে । আত্মঘাতের নেশায় মানবসভ্যতা আজ মত্ত হয়ে দিক-বিদিক জ্ঞান হারিয়েছে। সেই নেশা দেখছি আজ আমাদের ধৰ্ম্মকেও পেয়ে বসেছে-- মাদের আর কোন রকমে সাম্রাজ্যবাদের লীলাভিনয় করবার উপায় নেই তারা ধৰ্ম্ম দিয়েই সেই সথটি মেটাতে, সেই তৃষ্ণাটি পুরো করতে মত্ত হয়ে উঠেছে। তাই আজ সাধকদের (?) ইচ্ছা জেগেছে ঞ্জদের ধৰ্ম্মের নামেও এমন একটা বিপুল বিজয়যাত্রার আয়োজন করা যায় কিনা যাতে জগতের অন্য সব ধৰ্ম্মকে সেই বিজয়যাত্রাতে বিছি দীর মত পিছনে সার করে টেনে নিয়ে যাওয়া চলে ! এ এক দারুণ প্রলোভন ! এর বিরুদ্ধে মুখ ফুটে কেউ কিছু বলুক দেখি। আজ জগতে কোথায় বা কে ডিক্টেটরদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছেন ? মুখ থেকে কথা বের হতে না-হতে তাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হতে হবে না ; আমাদের দেশেও এই কথা বলবার মত লোক দুলভ। মেগালোম্যানিয়ার ( Megalo:mania3 ) दिद-्-- | কুকুরের বিষের মত । পাগলা কুকুর যাকে কামড়াৰ সে যেন আরও বেশি পাগল হয়ে ওঠে। যুরোপেৰ । এই বিষ ভারতকে আজ মজ্জায় মজ্জায় যেন ੋ বেশি পেয়ে বসেছে। অামাদের শিরায় শিরায় এ= দানব-লীলা আরও প্রচণ্ড হয়ে উঠছে। তার পর দি কেউ বলতেও উদ্যত হন, তবে তার শ্রোতা নেই। তাই অাত্ত ধৰ্ম্মের নামে, মতের নামে, ভাষার নামে, সৰ্ব্ব ভাৰে চলেছে সাম্রাজ্যবাদের নানাবিধ অর্থহীন অনুকরণ ও অনুসরণ । ইচ্ছাটা তাই বটে, তবে শক্তিতে কুলোয় = এই ঘা কথা । আজ ভাই আমাদের দেশেও আমরা ধৰ্ম্মের নামে ক্ৰৰে অর্গ্যানিজেখনকে পূজা করতে উদ্যত হয়েছি। অনানিজেখনটা যত বড়, যেন ধৰ্ম্মসাধনাও তত বড় হত । এই সবই দাস-মনোবৃত্তি, কিন্তু এ-কথা বুঝায় কে ? ধৰেৰ মৰ্ম্মকে ছেড়ে এই সব অর্গ্যানিজেখনের পূজার মং যে একটি ধৰ্ম্মব্রত নীতির ব্যভিচার আছে সেই ব্যথা জন্ম আর আমাদের অন্তরের শুচিতাকে পীড়া দেয় না। স্ত্ৰ | কি, যে-সব ধৰ্ম্মসাধকেরা অপৌত্তলিকতার গৰ্ব্ব করেন উts | নিজেদের এই অপচেষ্টার মধ্যে পৌত্তলিকতাট પરસ્સા অক্ষম । যদি অর্গ্যানিজেস্তনেরই পূজা করি তবে ক্ষেsে. কারখানা, জগতের ডাক- ও তার- বিভাগ বা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদেরই পূজা করা উচিত, কারণ এত বিsts ও প্রবল অর্গ্যানিজেখন আর কোথায় মিলবে ? আমরা আজ আমাদের পিতামহদের সরল অঞ্চ সত্যগুলি ভুলেই গিয়েছি। কঠোপনিষৎ যে বন“যা ছোট হ’তে ছোট তাই আবার মহৎ হ’তেও ཡཱ་ཎི་རྡུང་། ། - ( अप्नांद्रौप्रांन् भइएड भशैश्रान् ; २, २०) ७कष। .ि আমাদের মনে ধরে ? সেখানেই ঋষি বলছেন, “সেই সভা আমাদের হৃদয়ের মধ্যে” (গুহায়াং নিহিতোহন্ত জs, । ২, ২ )। শ্বেতাশ্বতরও এই কথাই বলেছেন। মূও, উপনিষৎ বলছেন, “সমস্ত লোক এবং সমস্তু লোক-নিৰt৯ যাহাতে আশ্রিত তিনি অণু হ’তেও অণু (যাভ্যোং যস্মিন লোকা নিহিতা লোকিনশ্চ ; মুণ্ডক, ২, ২, ২ )।