পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন বর্তমান জগদ্ব্যাপী দুৰ্গতি l

  • o
  • -Ե-Գ>

-- - কঠোপনিষৎ বলছেন, “তিনিও গুহাহিত” গহবরেষ্ঠ (২, ১২)\ —অর্থাৎ তিনি আমাদের অস্তরের গুহার মধ্যে। অন্তরে মিন শাস্ত, আবার বাহিরেও তিনি স্তষ্ক। তাই তেতির বলেন, “বুক্ষইব স্তকে দিবি তিষ্ঠত্যেকঃ" (৩, ৯) অর্থাৎ এই আকাশে তিনি আপন মহিমায় বৃক্ষের ন্তায় স্তব্ধ হয়েপত্রতিষ্ঠিত। ছান্দোগ্য বলেন, তাহাকে "শাস্ত উপাদাঁত” (৩, ১৪, ১)—অর্থাৎ শাস্ত ভাবে উপাসনা করিবে । এই জন্যই তৈত্তিরীয় বলেন, বদ ধৰ্ম্মং চর” (?, ১১, ১ ) । কতদূর সরল কথা ! "সত্য কথা বল, ধৰ্ম্মকে আস্থা কর" । এর চেয়ে সহজ বধা আর কি হ’তে পারে। এই ধৰ্ম্মের স্বল্পও যে পেয়েছে সে মহাভয় হ’তে রক্ষা পেয়ে গিয়েছে—( স্বল্পমপ্যস্য ধৰ্ম্মস্য ত্রায়তে पट्प्टॉडब्रॉ९ । क्रीड1 २,8० ) t ভারতের এই সহজ সরল অাদর্শ হ’তে আজ আমরা ভ্ৰষ্ট ইয়েছি। আজ কাগজে, ঘোষণায়, কৰ্ম্মকাণ্ডে, অনুষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানে, অগণিত রকমের প্রোপাগাণ্ডাতে, বিপুলতাকেই আমরা মনে করি চরম সার্থকতা। আমাদের মন যেন আজ এই তীব্র স্বরায় মাতাল হয়ে উঠেছে। আমরা আজ সবাই "বিপুলতা-দানবে”র পূজারী। কাপালিক শাক্তও এই নামে লাঞ্ছিত হ’লে নিজেকে অপমানিত বোধ করবার কথা । আপনাদের দেশের একটা ভরসা এই, যে, আপনাদের আত্মম্বই বিপদও যেমন বৃহৎ তেমনি ঐ দেশে নানা স্থানে এমন সব বড় বড় মনীষী আছেন যারা তাদের যুগ ও দেশ হতে অনেক বড়। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, পৃথিবীর ব্যবস্থা যাদের হাতে তারা এই সব মনীষীদের বাণীকে কিছুতেই আমল দেন না । সাধারণ লোকও এমনই মত্ত _হ্য রয়েছে যে এদের ভাব ও বাণী তারা বুঝতেই পারে না। কাজেই অনেক দুঃখ-দুৰ্গতির মধ্য দিয়ে দীর্ঘকাল এই সব অসংখ্য বাণীকে প্রতীক্ষা করতে হবে। আমাদের এই ত দারুণ দুঃখ । যুরোপের এই বিপুলতার মত্ততা, সাম্রাজ্যবাদের নেশা আমাদের পেয়ে বসেছে, অথচ য়ুরোপের এই সব মনীষীদের মহিমা আমরা ভাল ক’রে উপলব্ধি ক’রে উঠতে পারছি নে। অথচ আমাদের পিতৃপিতামহদের প্রাচীন সরল মন্ত্র ও সাধনাও আমরা হারিয়েছি। তাতেওঁ আমাদের প্রাণ সাড়া দেয় না ! “সত্যং চারি দিকে ঘরেবাইরে যখন এমন দুৰ্গতি, তখন কোথায় পাই শান্তি ? বড় বড় শহর, প্রখ্যাত স্ট, মঠ মন্দির প্রতিষ্ঠান, সব দিকে চেয়ে দেখলাম, সৰ্ব্বত্রই সেই সৰ্ব্বনাশ আগুন লেগেছে । . আর গতি নেই দেখে, এই সব প্রখ্যাত জায়গা ছেড়ে, বাংলার সব অখ্যাত পল্লীর মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কোথায় কোন অজ্ঞাত পল্লীপ্রান্তে দুঃখী দরিদ্র নিরক্ষর আউল-বাউল দরবেশ কেউ আছেন, তাদের খোজেই লেগে আছি। তাদের মধ্যে এমন এক এক জনকে দেখতে পাই, যাদের কাছে বস্লে অপূৰ্ব্ব একটি শান্তি অনুভব করা যায়। জগৎ-জোড়া অর্গ্যানিজেস্তানের প্রচণ্ড চাপ ও দারুণ তাপ সেখানে নেই। জগতে মৃত্যুর দারুণ অগ্নিবন্ত তো আসছে। তার মধ্যে এদের কেউ কেউ কি জীবনের শাশ্বত কিছু কিছু বীজ কোনও প্রকারে বাচিয়ে রাখতে পারবেন ? যদি পারেন, তবে সেই প্রলয়াগ্নি যখন স্বপক্ষ প্রতিপক্ষ সবাইকে দগ্ধ করে বিদায় নেবে, তখন সেই ভষ্ম-প্রাস্তরের মধ্যে এদের প্রক্ষিপ্ত সেই সব বীজে হয়তো আবার নতুন করে মানব-সাধনার আরম্ভ হ’তে পারবে। - সেই দারুণ প্লাবনের মধ্যে এরা যেন প্রত্যেকে । একটি নোয়ার ভেলী ( Noah’s ark ) | এই ८डज्ञां७व्ति কোনটাই বিশাল-আয়তন নয়। আছে, একটি ডুবলেই সব কারণ সলিলে এক একটি ছাসমান বঁটপত্র, নারায়ণ যার মধ্যে ৰোগনিদ্রারভ। প্রত্যেকটি বটপত্র ভবিষ্যতের শশব বীজে ভরপুর। যত দিন প্লাবন চলবে ভভ দিন এই সব বীজ ভেসেই বেড়াবে। তার পর যদি এই সব বীজ ক্ষেত্র পায় তবে হয়তো পৃথিবীকে চিরন্তন অথচ চিরনবীন প্রাণ-সম্পদে পরিপূর্ণ করবে। এই দুদিনে এর চেয়ে বউ আশা আর কি করতে পারি ? " ... কেন আপনাদের দেশে রমণীয় উষ্ণ ঋতু। এই দিনত আপনার কাজের অস্ত নেই তা জানি। লিখেছেন, আপনি অস্তি প্রান্ত। কিন্তু তাতে আপত্তি করলে চলবে কেন ? প্রভুও যে আমাদের সদা সেবারত । তার সেবক কি সেবাতে শ্রাস্ত বললে চলে ? - ت বিশাল হ’লে বিপদগেল। এরা যেন আদি o